ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখি মেলা
রাবি প্রতিনিধি

গণসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখির মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে বার্ড কনজারভেশন ক্লাবের উদ্যোগে এ মেলা হয়।

মেলার স্টলে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নানা কৃত্রিম পাখি। এদের মধ্যে রয়েছে, গাংচিল, বাদামি ঝিল্লি, সাদাগলা মানিকজোড়, ছোট ডুবুরী, ডাহুক, বামুন শালিক, জল ময়ূর, পালাসির গাংচিল, সাইবেরিয় শিলাফিদ্দা, লম্বাপা তিলাবাজ, নীল চটক ও  উইলসন্স স্টর্ম পেট্রল। 

পাখিগুলো রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। আরেক স্টলে পানকৌড়ি, জল কাক, তুর্কি বাজ, টিয়া, লক্ষ্মী পেঁচা, হুতুম পেঁচা, গরিয়াল মাছরাঙা, পাতি তিলি হাঁস, ডোরা কাঠবিড়ালি, কোয়েল, পাঁতি কাক ও নিশি বকের চিত্র প্রদর্শনী রয়েছে। 

মেলা শুরুর পর থেকে দর্শনার্থীরা স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। শিক্ষার্থী তৌফিকুল ইসলাম বলেন, এটা নিঃসন্দেহে ভালো একটা উদ্যোগ। পাখি প্রকৃতির অংশ। প্রকৃতির ভারসাম্য ঠিক রাখতে পাখি সংরক্ষণ জরুরি। পাখি আমার ভাল লাগে। অনেক পাখি আগে দেখতাম কিন্তু নাম জানতাম না, এমন অনেক পাখির সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছি। ফলে ভাল লাগছে। 

'পাখি প্রকৃতির সৌন্দর্য, আনন্দের সংগী-এদের বাচতে দিন' প্রতিপাদ্যে মেলায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে নগরীর বিভিন্ন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী অংশ নেয়। 

মেলার সহকারী পরিচালক হাসনাত রনি বলেন, পাখির প্রতি ভালোবাসা ও পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এই মেলা। নানা কারণে পরিবেশ থেকে প্রতিনিয়ত অনেক পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মানুষও অনেকটা দায়ি। তাই পাখির প্রতি সদয় দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি এবং সংরক্ষণে ভ‚মিকা রাখতে আমরা কাজ করছি। তাছাড়া বর্তমান প্রজন্মের অনেকে কাক ও শালিকের পার্থক্য বুঝতে পারে না। বিষয়গুলো চিন্তা করেই আমাদের এই আয়োজন। 

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর