রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ইফতারের চাঁদা ফেরত চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে হল কক্ষে আটকে মারধর ও হুমকি-ধমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে হল ছাত্রলীগের এক নেতা ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নবাব আব্দুল লতিফ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম খালেদুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ ও নবাব আব্দুল লতিফ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নবাব আব্দুল লতিফ হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি তাশফিক আল তৌহিদ এবং তার অনুসারী মোজ্জাম্মেল হক ও শাওন প্রমুখ। তৌহিদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।
এ ব্যাপারে নবাব আব্দুল লতিফ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান বলেন, অভিযোগ দেওয়ার কথা জেনেছি। ভুক্তভোগীও আমাকে ফোনে মারধরের বিষয়টি জানিয়েছে। অভিযোগ যাচাই করে প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নবাব আব্দুল লতিফ হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তাশফিক আল তৌহিদের নেতৃত্বে হলে ইফতার পার্টি আয়োজনের কথা ছিল। এ উপলক্ষে গত রবিবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের কথা বলে ১০০ টাকা করে চাঁদা তোলেন তৌহিদের কয়েকজন অনুসারী। গত সোমবার ওই ইফতার পার্টি হওয়ার কথা থাকলেও তার তিনদিন পার হয়ে গেলেও ইফতারের আয়োজন করা হয়নি। ফলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী খালেদুল ও তার রুমমেট নাফিস ফাহিম বাড়িতে চলে যাবেন বলে বুধবার ছাত্রলীগ নেতাদের জানান এবং এক পর্যায়ে টাকা ফেরত চান। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে তাদের কক্ষে আটকে গালিগালাজ করে মারধর ও হুমকি-ধমকি দেয় ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ ও তার অনুসারীরা।
ভুক্তভোগী খাদেমুল বলেন, বাড়ি চলে যাব বিধায় ইফতারে থাকতে পারছি না বলে জানাই ও টাকা ফেরত চাই। কিন্তু উল্টো আমাকে হল কক্ষে আটকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে তৌহিদ ও তার অনুসারীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা তাশফিক আল তৌহিদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ জানি না। তবে ঘটনার পরই কয়েকজন মিলে সেটা সমাধান করেছে। কোনো মারধর হয়নি।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই