ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

স্থানীয়দের সঙ্গে ইবি শিক্ষার্থীদের মারামারি, আহত ৭
ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী নুরজাহান ছাত্রী মেসে বিদ্যুৎ বিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মারামারির ঘটনায় অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে নেওয়া হয়।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নুরজাহান মহিলা হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে। মেস ম্যানেজারের সঙ্গে হাতাহাতির একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের মারধর করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল‘ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফারিয়া খাতুনের গত চার মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল। গত সোমবার বিকালে ফারিয়ার কাছে মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস বিদ্যুৎ বিল চাইলে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ফারিয়া খাতুন বিষয়টি তার বন্ধু আবু হানিফ পিয়াসকে (একই বিভাগ ও শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী) জানায়। সন্ধ্যায় পিয়াস ১০/১২ জন বন্ধুকে নিয়ে এ বিষয়ে মেস ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাদের জোর করে বের করে দেন ম্যানেজার ও কেয়ারটেকার। একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকিব আলী, আবু হানিফ পিয়াস, নাঈম রেজা, হৃদয় আবির ও স্থানীয় আশিক খানসহ অন্তত ৭ জন আহত হন। পরে রাত ১০টার দিকে শৈলকূপা থানার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে দু’জন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষের মাঝে সমঝোতা করে দেন।

ফারিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় ম্যানেজারকে বিদ্যুৎ বিল দিতে গেলে তিনি আমাকে বাজে ইঙ্গিত দেন। তিনি আমাকে মেস ছেড়ে চলে যেতে বলেন। আমি আমার বিভাগের বন্ধুকে (আবু হানিফ পিয়াস) বিষয়টি জানালে সে আমার বিষয়ে মেস ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে এলে ম্যানেজার ও নিরাপত্তাকর্মী তার সঙ্গে বাজে আচরণ করে। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে আমি অভিযোগ দেব। প্রক্টর ব্যস্ত থাকায় অভিযোগ দিতে পারিনি।

হোস্টেলের ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস বলেন, ‘গত জানুয়ারি মাসে ওই মেয়ে মেসে ওঠে। এরপর সে এতদিন থেকেছে কিন্তু বিদ্যুৎ বিল দেয়নি। তার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় এক হাজার টাকা। আমি কয়েকবার বিল চাইতে গেলে সে বিভিন্নরকম বাহানা দিতে থাকে। সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমি তার সঙ্গে কোনো বাজে আচরণ করিনি।’

ফারিয়ার বন্ধু আহত আবু হানিফ পিয়াস বলেন, ‘ফারিয়ার সঙ্গে কিছুদিন ধরে মেস ম্যানেজার বাজে ব্যবহার করছিল। আমাকে জানালে কয়েকজন বন্ধু মিলে ম্যানেজারকে জিজ্ঞাস করতে যাই। তখন তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিবেক আমার এক বন্ধুকে চড় মারে। পরে আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এসময় স্থানীয় লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে আমাদের ওপর চড়াও হয়। এতে আমরা চার বন্ধু আহত হই।’

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘আমি এখনো কোনো পক্ষেরই লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর