ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পেনশনস্কিম প্রত্যাহার দাবি
রাবির বর্জন কর্মসূচিতে অচলাবস্থা, সংকটে শিক্ষার্থীরা
রাবি প্রতিনিধি

সরকারি চাকরিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম 'প্রত্যয়' প্রত্যাহারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বর্জন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। এতে ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সংকটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বাড়ছে সেশনজটের শঙ্কা। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম খান বলেন, 'এটা শিক্ষক সমাজের আন্দোলন। প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ও শিক্ষক আছেন, সেটি ভিন্ন বিষয়। মূলত পরীক্ষার বিষয়ে স্ব স্ব বিভাগ/ পরীক্ষা কমিটি ও একাডেমিক কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়। এখন সবাই আন্দোলনে আছেন। আন্দোলনটি অনির্দিষ্টকালীন, সব মিলে কিছুটা বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে কিছু পদক্ষেপের চেষ্টা চলছে।'

শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনার পর এমনিতেই পিছিয়ে আছি। নানা কারণে সংকট পিছু ছাড়ছে না। শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে। এ আন্দোলন শেষ কবে জানা নেই। ফলে সংকটে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি জানান তারা। 

অর্থনীতি বিভাগের আবিদা সুলতানা বলেন, চাকরির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০। পড়াশোনা শেষে মাত্র ৩-৪ বছর চাকরি পরীক্ষার সুযোগ পাই। কিন্তু করোনা পরবর্তী নানা সংকটে দীর্ঘ হচ্ছে সেশনজট। এতে ভোগান্তি বাড়ছে। 

বর্জন কর্মসূচি আন্দোলনে শিক্ষক নেতারা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এই বৈষম্য কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশনস্কিম প্রত্যয় প্রত্যাহারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন রাবি ও রুয়েটের শিক্ষকরা। এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন কর্মকর্তারাও। শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে প্রতিদিন অবস্থান কর্মসূচি করে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয়া হচ্ছে৷ 

এ ব্যাপারে রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, 'এই আন্দোলন ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষার আন্দোলন। এই প্রত্যয়স্কিমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মেধাবী শিক্ষক হারাবে। ফলে জাতি পিছিয়ে পড়বে। যা হতে দেয়া যায় না। দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চলবে।'

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর