ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কোটাবিরোধী আন্দোলন, জাবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
জাবি প্রতিনিধি

সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য (স্ট্যান্ডওভার) মুলতবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই সিদ্ধান্তের পরই ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময়, শিক্ষার্থীরা প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে মহাসড়কে বেঞ্চ, টুল ফেলে অবরোধ করে রাখে। 

অবরোধের কারণে জাবির প্রধান ফটক থেকে সাভার স্ট্যান্ড এলাকা এবং ডেইরি গেইট থেকে নবীনগর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। তবে অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা রোগীবাহী এম্বুলেন্সকে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। 

এসময়, কোটা বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক জাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম সিয়াম বলেন, আমরা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই যাবো। আজকে আমরা হয়তো স্বল্প সময়ের জন্য অবরোধ করেছি। যদি এ কোটা বহালের রায় বাতিল না করা হয় তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার যোগাযোগ বন্ধ করে দিবো। এতে করে সাধারণ জনগণ থেকে অ্যাম্বুলেন্সের একজন রোগীরও যদি ক্ষতি হয় সেটার দায়ভার রাষ্ট্রপক্ষ নিবে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, 'সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আমরা বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছি। অনতিবিলম্বে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, যেহেতু আদালত এখনো শুনানি দেয়নি, সেটার উপর আশা রাখছি। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা এখনো অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মসূচি দিই নাই। তবে আজকের এ কর্মসূচি থেকে বলতে চাই, যদি এই কোটা প্রথা বহালের না করা হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশ অচল করে দেওয়া হবে। 

এছাড়া, আজকে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য অবরোধ কর্মসূচি ছোট পরিসরে করেছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বক্তারা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর বলেন, 'শিক্ষার্থীদের অবরোধের খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় তাদের কাছে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানাই। তার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আধাঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেয়।' 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর