ঢাকা, বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে অচল পবিপ্রবি
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

বৈষম্যমূলক পেনশন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষক-কর্মচারীদের লাগাতার কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘটে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

পবিপ্রবি’র শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া লাগাতার আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদ একাত্মতা প্রকাশ করায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার সকালে চলমান আন্দোলনের নবম দিনে পবিপ্রবির একাডেমিক ভবনের প্রধান ফটকে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ সভা করেন শিক্ষক সমিতি। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মামুন উর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মো. নাজমুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল আলম, সদস্য অধ্যাপক ড. কাজী শারমীন আক্তার প্রমুখ।

একই সময়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদ। বক্তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পবিপ্রবিতে কর্মবিরতিসহ সর্বাত্মক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

এদিকে, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের লাগাতার কর্মবিরতিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের অনিশ্চয়তায় ভুগে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করায় ক্যাম্পাস ছাত্রশূন্য হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রতিদিন অফিসে হাজিরা দিয়ে বাইরে থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যমূলক পেনশন প্রজ্ঞাপন বাতিল, সুপার গ্রেড ও স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনসহ ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১ জুলাই থেকে লাগাতার কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘটের আহ্বান জানায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এর অংশ হিসেবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচিতে শামিল হন। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চলমান শিক্ষক আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে মাঠে নামলে ক্যাম্পাসে স্থবিরতা নেমে আসে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর