ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আন্দোলনে অংশ না নিতে 'ডোর টু ডোর' ক্যাম্পেইন চালাবে ছাত্রলীগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে 'কোটা' সংস্কার করে সংসদে আইন পাস করার দাবিতে বর্তমানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে না আসার জন্য ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।

  শনিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে কোটা ইস্যুতে 'পলিসি এ্যাডভোকেসি' ও 'ডোর টু ডোর' ক্যাম্পেইন' চালু করে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।  

ইনান বলেন, যারা জনদুর্ভোগ তৈরি করছে, শিক্ষার্থীদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরতে দিচ্ছে না। আমরা তাদেরকে সাবধান করে দিতে চাই। তারা মূলত ষড়যন্ত্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। কোট আন্দোলনের নাম করে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাঁ হাত ঢুকানোর ফলাফল ভালো হবে না।

সম্মেলনে সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা শংকার সঙ্গে লক্ষ্য করছি সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি যৌক্তিক ইস্যুতে আন্দোলন করেছে, শান্তিপূর্ণ উপায় বেছে নিয়েছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে গেছে। কিন্তু 'প্রফেশনাল আন্দোলনকারীরা' ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের জন্য রাজপথে রয়েছে। আজকে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, ব্লকেড ব্লকেড খেলা খেলছে— সাধারণ মানুষ দূর্বিষহ যন্ত্রণায় পড়ছে। হাইকোর্টের রায় স্থগিত করার পরে যারা যারা নিজেদের ক্যাম্পাসে ফিরে গেছে তাদেরকে আমরা অভিনন্দন জানাই। আমরা তাদেরকে সাবধান করে দিতে চাই, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোনো ধরনের নৈরাজ্য মেনে নিবে না। 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন' নাম দিয়ে প্রথমে তারা বলেছে ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপন চায়, ইতোমধ্যে হাইকোর্টের রায় আদালত স্থগিত করেছে। এরপর কমিশন গঠন করার কথা তারা বলেছে, হাইকোর্ট তা গঠন করেছে। কিন্তু এখন তারা বলছে আইন প্রনয়নের কথা। এ জন্য সময় প্রয়োজন, বিজ্ঞদের সাথে আলাপ আলোচনা প্রয়োজন। আমরাও এর একটি সাংগঠনিক সুরাহা চাই, সাংবিধানিক সুরাহা চাই। তাই মক জাস্টিস নয় বরং কন্সট্রাক্টিভ পলিসি মেইকিং এর মাধ্যমে এ সংকটের সমাধান হবে বলে আমরা মনে করছি। 

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা জেন্ডার সমতা, জেলা সমতা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সুরক্ষামূলক আদিবাসী কোটার কথা বলছি। তারা নাম দিয়েছে 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন' কিন্তু তারাই আবার নারী কোটার বিরুদ্ধে কথা বলে। আমরা নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতার কথা বলছি। কিন্তু  আজকে যারা নিজেদেরকে স্বঘোষিত মেধাবী বলে দাবি করছে তারা কি নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে পার্থক্য বুঝে না? তারা বলছে "কোটা না মেধা" এটা কিন্তু কোটা আর মেধার লড়াই নয়। কোটা একটি চলমান বিষয়। সবাই কিন্তু মেধাবী। সব দিক থেকে যারা এগিয়ে আছে শুধুমাত্র তারাই প্রশাসনিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হবে।

উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান সৈকতসহ প্রমুখ ।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর