ঢাকা, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দুই শিক্ষকের বাসায় হামলার অভিযোগ
শিক্ষার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদে চবি শিক্ষকদের মানববন্ধন
চবি প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা, গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং র‍্যালি করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষকরা। 

বুধবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক ঐক্যের ব্যানারে এতে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৮০ শিক্ষক।

এতে সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান। 

মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ। মানববন্ধন শেষ দোয়া পরিচালনা করেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক। 

এতে বক্তব্য রাখেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. জয়নাল আবেদীন সিদ্দিকী ও অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. বেগম ইসমত আরা হক, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল বশর ও রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী।

রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, শুধু শিক্ষার্থী নয় সাধারণ মানুষ ও শ্রমজীবীদের ওপরও গুলি চালানো হয়েছে, যারা কি-না পরিবারের প্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছিল। এতে করে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা করা হয়েছে।

প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, দেরীতে হলেও আমরা সংহতি জানাতে পেরেছি। চলমান নিপীড়নের প্রতিবাদে সরব হতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের প্রতিবাদ চলমান থাকবে।

এদিকে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহিদ মিনারে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাজের ব্যানারে একই দাবিতে মানববন্ধন ও র‍্যালি করেন প্রায় ১১ শিক্ষক। এতে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের গোলাম হোসেন হাবীব, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মুনমুন নেছা চৌধুরীসহ অন্যরা।

দুই শিক্ষকের বাসায় হামলার অভিযোগ

এদিকে, গভীর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই শিক্ষকের বাসায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হল উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অন্য শিক্ষক হলেন প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান। তারা দুজনেই কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা ও হয়রানির বিপক্ষে সরব রয়েছেন।

ভুক্তভোগী অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাত সোয়া ২টার দিকে ৭-৮টা মোটরসাইকেল নিয়ে পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটিতে আমার বাসার সামনে আসে তারা। এ সময় স্টিলের দরজায় আঘাত করে ও আমার নাম ধরে চট্টগ্রামের ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। তারা ৩টা বোমও ফোটায়। কিছুক্ষণ পর অন্য বাসা থেকে একজন তাদের পরিচয় জানতে চাইলে চলে যায়।

মোজাম্মেল হক অভিযোগপত্রে লেখেন, রাত ২টায় আমার বাসার সামনে আনুমানিক ১৬-১৭ জন তরুণ ৬-৭টি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে আমার নাম ধরে উচ্চস্বরে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। তারা আনুমানিক ৭-৮ মিনিট অবস্থান করে। এই সময়ে তারা ৩টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বাসার সামনে ইলেক্ট্রিক পোলে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভব।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত



এই পাতার আরো খবর