ঢাকা, শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দেশের সকল খাত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে: অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান
ঢাবি প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দেশের সকল খাত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। সংস্কারের ক্ষেত্রে সিস্টেমের আমূল পরিবর্তনের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকালে  রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ হোটেল নিউইয়র্কে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক  মানবাধিকার কমিশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ডেনমার্ক বিএনপির সভাপতি গাজী মনির আহমেদের দেশ ফেরা উপলক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।  

অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা (বিগত সরকারের সময়ে) দলীয় কর্মকর্তাদের মতো কাজ করেছেন। পুলিশ দলীয় বক্তব্য দিয়েছে। আগে দলের লোকেরা ভোট চুরি করতো, প্রশাসন কখনো বাধা দিতো, কখনো দিত না। তবে আমরা দেখলাম বিগত তিন নির্বাচনে প্রশাসনই ভোট চুরি করছে, দলীয় লোকেরা পাহারা দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্ব বক্তব্য দিয়েছেন, ‘তাদের জীবদ্দশায় তারা এতো চমৎকার নির্বাচন দেখেননি। কী নির্মম পরিহাস!’

ঢাবির এই শিক্ষক বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে প্রকাশ্যে লুটতরাজ করে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার ঋণ রেখে গেছে। মেগাপ্রজক্টের নামে দুর্নীতি হয়েছে। আশির দশকে আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, তখন এরশাদকে আমরা স্বৈরাচার বলতাম। কিন্তু এই সরকারকে দেখলে এরশাদকে ভালো মনে হয়। তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে ব্যক্তি নয়, বরং সিস্টেমের আমূল পরিবর্তনে করতে হবে যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেই আসে, তারা যেন হত্যা, গুম, খুন না করতে পারে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ মুক্ত করতে হবে।

বিএনপির ডেনমার্কের সভাপতি গাজী মনির আহমেদ বলেন, সরকারের কারণে গত ১৪ বছর আমি দেশে আসতে পারিনি। আমি গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার চেয়েছিলাম। ফলে ইউরোপের কোথাও শেখ হাসিনা গেলে আমরা সেখানে গিয়ে আন্দোলন করতাম। আমরা এতদিন সরকারের বিষয়ে যা বলেছিলাম, আজ তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার)। এম এ হাশেম রাজু অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশে ব্যাপক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি এখন সেসব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার করার কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মোশতাক খান, আব্দুল গণিসহ প্রমুখ।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর