রাজধানীর খিলগাঁও নিজ বাসায় বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফারহান আহসান চৌধুরী (২১) নামের ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল।
গতকাল মঙ্গলবার সাড়ে নয়টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ওই শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি পরিবারের সঙ্গে খিলগাঁও থানার উত্তর গোড়ানে ছয় নম্বর বাসায় থাকতেন। উত্তর গোড়ান এলাকার আহসান রাকিব চৌধুরীর সন্তান তিনি।
ফারহানের মামা মো. ফাহিম ফয়সাল বলেন, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাসায় ফিরে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে রাখে ফারহান। পরে অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি সে প্যান্টের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। এরপর অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, খিলগাঁও এলাকা থেকে জবি শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। আনার পরে চিকিৎসক জানায় সে আর বেঁচে নেই। নিহতের পরিবার দাবি করে, সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমরা বিষয়টি খিলগাঁও থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
এদিকে তাঁর অকাল মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে নাট্যকলা বিভাগে। ফারহানের এমন আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বিভাগের শিক্ষক ও সহপাঠীরা শোকে হতবিহ্বল।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আমরা শুনেছি আমাদের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। খবরটি আসলেই খুবই মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক আমাদের সবার জন্য। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ