শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক শিক্ষক ও জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লবের আদালতে শেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের চিকিৎসক ডা. এম এ মামুন।
আদালতের বিশেষ পিপি মুমিনুর রহমান টিটু সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্নের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আগামী ২১ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকালে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে ড. জাফর ইকবালকে হত্যার চেষ্টা চালায় ফয়জুর নামের এক যুবক। ছুরি দিয়ে জাফর ইকবালের মাথা ও ঘাড়ে উপর্যুপরি আঘাত করে সে। আহত অবস্থায় জাফর ইকবালকে প্রথমে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করেন। এতে ফয়জুরকে প্রধান আসামি করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ঐদিন ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার পর শিক্ষার্থীরা গণপিটুনি দিয়ে ফয়জুরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ঘটনার পর পুলিশ আলামত হিসেবে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত ছুরি ও ফয়জুরের বাইসাইকেল উদ্ধার করে। পরে ৮ মার্চ তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর ফয়জুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। তার আগে ২৬ জুলাই ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- ফয়জুলের বন্ধু সোহাগ মিয়া, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসান।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত