ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

শ্রীমঙ্গলের চা-বাগানে চলছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা-বাগান গুলোতে চলছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। আজ শনিবার উপজেলার ৪২টি চা বাগানে সকাল ৬টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়। চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকা করার দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। 

সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রমিকরা কাজে না গিয়ে তাদের দাবি আদায়ে সকাল থেকেই বাগানে বাগানে মিছিল ও সমাবেশ করছে। বেলা ১২টার দিকে ভাড়াউড়া, ভুড়ভুড়িয়া, খাইছড়া ও জাগছড়া চা-বাগানের শ্রমিকরা মিছিল নিয়ে শহরে এসে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পরে তারা মিছিল নিয়ে আবার বাগানে চলে যায়। 

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি বলেন, শনিবার সকাল থেকেই  শ্রমিকদের ধর্মঘট সর্বাত্মকভাবে পালিত হচ্ছে। দেশের ২৩১টি চা বাগানের প্রায় দেড় লাখ চা শ্রমিক ধর্মঘট পালন করেছেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা আজ থেকে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করছি। বাগানের সাপ্তাহিক ছুটি ও শোক দিবসের কারনে আগামী দুই দিন আন্দোলন স্থগিত থাকবে।  এই উদ্ভৃত পরিস্থিতি থেকে উত্তোরনে জন্য গত ১২ আগষ্ট শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম অধিদপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে উভয় পক্ষকে আলোচনায় বসতে অনুরোধ জানিনো হয়েছিল। 

তিনি আরও জানান, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী সাক্ষরিত চিঠিতে চলমান চা শ্রমিকদের কর্মবিরতীকে শ্রম আইন পরিপস্থি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। চায়ের ভরা মৌসুমে উদপাদন ও চা শিল্পে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আইনসম্মতভাবে দীর্ঘদিনের প্রচলিত প্রথানুযায়ী উভয় পক্ষের পারস্পরিক আলোচনার মধ্যেমে বিষয়টি সমাধানের জন্য অনুরোধ হয়েছিল।

এদিকে, চলমান এই সমস্যা সমাধানের জন্য গত বৃহস্পতিবার (১১ আগষ্ট) বিকেলে শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর কার্যালয়ে দপ্তরের উপপরিচালকের আমন্ত্রনে মালিকপক্ষ ও চা শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এই বৈঠকে চা বাগান মালিকপক্ষের কেউ উপস্থিত হননি। 

চা-বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট বিভাগীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় শ্রমিকদের আন্দোলনে যাওয়া উচিত হয়নি। এটি শ্রম আইনেরও পরিপন্থী। চায়ের এই ভরা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকলে মালিক-শ্রমিক উভয়েরই ক্ষতি হবে। আমরা আশা করবো আন্দোলন বন্ধ রেখে শ্রমিকরা দ্রুত কাজে ফিরবেন।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর