সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেছেন, ‘আজকের সম্মেলনে যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের আওয়ামী লীগে জায়গা হবে না। শিগগির তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
উপজেলা বিএডিসি মাঠে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর সোমবার বিকালে সম্মেলন মঞ্চে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সংঘর্ষের এক ঘণ্টা পর আবারও সম্মেলন শুরু হয়।
এতে নাহিদ আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশের উন্নয়ন হয়নি। তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এখন আওয়ামী লীগের উন্নয়ন বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।’
দীর্ঘ আট বছর পর দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সোমবার দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলন ঘিরে সকাল থেকে মিছিল নিয়ে বিএডিসি মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। দুপুর পৌনে ২টায় উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
তারা মঞ্চে ওঠার ৫ মিনিট পর দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করে। উঠতে না পেরে মঞ্চের দিকে ইটপাটকেল মারতে থাকেন। পরে দিরাই আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সুহেল আহমদের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেনের সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষের সময় চেয়ারকে ঢাল বানিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন নুরুল ইসলাম নাহিদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ বলেন, ‘সম্মেলন শুরুর পরপরই কিছু ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’
কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের এই সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তার নাম আজমল হোসেন চৌধুরী, তিনি কুলঞ্জ গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া দাবি করেছেন, ‘নিহত আজমল হোসেন চৌধুরী তার কর্মী। সংঘর্ষের সময় তার সামনে প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর আজমলের মৃত্যু হয়েছে’। অপরপক্ষ এটাকে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ বলে দাবি করছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ