গণসমাবেশ সফল করতে প্রায় ৮ হাজার মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। ৩৬ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে মোটরসাইকেল নিয়ে সমাবেশের একদিন আগেই সিলেট পৌঁছেছেন তারা।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে আব্দুজ জহুর সেতু থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা দেয় মোটরসাইকেল বহর।
মোটরসাইকেল বহরে তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ সদর, দিরাই শাল্লা, শান্তিগঞ্জ, ছাতক ও দোয়ারবাজার উপজেলার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ করেন। তাদের স্লোগানে মুখর ছিল রাজপথ।
এদিকে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটের বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি দেখা গেছে। তারা সতর্ক অবস্থানে থাকলেও পুলিশের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল বহরে কোনো বাধা প্রধান করা হয়নি।
সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শামসুজ্জামান বলেন, যত বাধাই আসুক আমরা প্রস্তুত আছি। যেভাবেই হোক বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে হবে। এমনই নির্দেশনা দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন নেতারা।
জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আনিসুল হক বলেন, স্বৈরাচারী এই সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপির গণসমাবেশ থেকে সরকার পতনের ডাক দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে প্রায় আট হাজার মোটরসাইকেল বহর নিয়ে সিলেট সমাবেশ স্থলে এসে পৌঁছেছি। ধর্মঘট দিয়ে রাস্তায় আমাদের বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু এসব প্রতিবন্ধকতা টপকিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা কেউ নৌকায়, কেউ মোটরসাইকেল আবার কেউ পায়ে হেঁটে একদিন আগে সমাবেশ স্থলে এসে পড়েছেন। সম্মেলন স্থল এখন মহাসমাবেশে রূপ নিবে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদ বিলুপ্ত ও সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে বিভিন্ন বিভাগে বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ করছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিভাগ ও ফরিদপুর জেলায় গণসমাবেশ করেছে দলটি। তারই ধারাবিকতায় সিলেটেও আগামী শনিবার (১৯ নভেম্বর) গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দলটি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত