ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সিলেটে জমজমাট পিঠা উৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:

শহুরে জীবনে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ পিঠাকে পরিচয় করিয়ে দিতে প্রতিবারের মতো এবারও আয়োজন করা হয়েছিল পিঠা উৎসবের। শুক্রবার নগরীর রিকাবীবাজারে পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করে সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। এতে নারী উদ্যোক্তারা পিঠাসহ তাদের উৎপাদিত নানা রকমের পণ্য নিয়ে অংশ নেন। ছুটির দিনে নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মূখর হয়ে ওঠে পিঠা উৎসব।

শুক্রবার সকাল ১০টায় নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন হয় পিঠা উৎসবের। এর আগে সকাল ৮টায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ উৎসবের স্টল পরিদর্শন করেন। উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়ের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ পিপিএম, ভারতের সহকারী হাইকমিশনার নিরাজ কুমার জাসওয়াল, সিলেটের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ। বিকেলে দ্বিতীয় অধিবেশনে অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. মজিবব রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। 

গ্রামের বাহারি নাম আর স্বাদের পিঠার সাথে শহুরে শিশু-কিশোরদের সম্পর্ক নেই বললেই চলে। তাই পিঠা উৎসবের খবর পেয়ে সকাল থেকে পুলিশ লাইন স্কুল মাঠে ছুটে আসতে থাকেন তারা। উৎসবের মাঠজুড়ে বসানো স্টলগুলো সাজানো হয় বাহারি নাম ও স্বাদের পিঠা দিয়ে। পিঠার মধ্যে ছিল চুঙা পিঠা, ঝালা পিঠা, নকশী পিঠা, মেড়া পিঠা, ছৈ পিঠা, দিলখোশ পিঠা, মুস্কু পিঠা, পানতোয়া পিঠা, চিতই পিঠা, মঞ্জুরি পিঠা, খাফনা পিঠা, পাতা পিঠা অন্যতম। এসব পিঠার বেশিরভাগই হয়তো কখনো চেখে দেখা হয়নি শহুরে মানুষের। তাই পিঠার স্টলগুলোতে ছিল ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। কেউ পিঠার স্বাদ পরখ করছেন, কেউ আবার বাসার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে ছিল ফটোসেশন। হরেক নামের পিঠার ছবি অনেকেই করেছেন নিজের মুঠোফোনে বন্দি। 

বিকেলে মঞ্চে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিল্পীদের গানে কন্ঠ মেলান উপস্থিত হাজারো দর্শণার্থী। মনকাড়া নৃত্যও প্রাণজুড়ায় পিঠা উৎসবে আসা সকল বয়সী মানুষকে। রাত ১০টায় বাহারী পিঠা আর গান ও নৃত্যে মুগ্ধ হয়ে বাড়ি ফিরেন দর্শণার্থীরা। 

পিঠা উৎসব প্রসঙ্গে সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায় জানান, এবছর প্রায় ৪০টি স্টল উৎসবে অংশ নেয়। মূলত গ্রামীণ পিঠাপুলির সাথে শহরের মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই হচ্ছে এই মেলার উদ্দেশ্য। গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে প্রতিবছর উইমেন চেম্বার এই উৎসবের আয়োজন করে থাকে। পিঠা উৎসবে পিঠার পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও প্রচারের সুযোগ পান। 

বিডি প্রতিদিন/এএম



এই পাতার আরো খবর