ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করে লোকসানে সিসিক
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:

প্রতি ঈদুল আজহায় সিলেটের কওমি মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোতে কুরবানির পশুর চামড়া দান করে মানুষ। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোতে চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় দিনে দিনেই বিক্রি করে দিতে হয়। গত কয়েক বছর ধরে একটি সিন্ডিকেট চামড়ার দাম নিয়ে কারসাজি করায় ঈদুল আজহার দিনভর পাওয়া চামড়াগুলো রাতে ন্যায্য মূল্যের ক্রেতা না পেয়ে বিপাকে পড়তেন বেশিরভাগ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। নায্যমূল্য না পেয়ে চামড়া নদীতে ফেলে দেওয়া এবং মাটিতে পুঁতে ফেলারও অনেক ঘটনা ঘটেছে সিলেটে। 

এ অবস্থায় গত ঈদুল আজহায় সিলেট মহানগরের মাদরাসাগুলোর সংগ্রহকৃত চামড়া সাময়িক সময়ের জন্য লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা এবং পরে বিক্রি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল সিলেট সিটি করপোরেশন। কিন্তু সেই সিন্ডিকেটের কারণেই চামড়া সংগ্রহ করে লোকসানের মুখে পড়ে সিসিক। ১০ মাস পর সেই চামড়া বিক্রির টাকা মাদারসা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে সিসিক।

জানা গেছে, গত ঈদুল আযহায় সিলেটের ২৯টি মাদরাসা এবং ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মোট ১০ হাজার ৩২৯টি চামড়া সংরক্ষণ করে সিসিক। এতে সংরক্ষণ ও পরিবহন খরচ বাবদ ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু চামড়াগুলো সময়মতো বিক্রি হয়নি। বেশি কয়েক মাস ঘুরে চামড়াগুলো বিক্রি করা হয় ২৩ লাখ ৩ হাজার ৯৯৮ টাকায়। সেই হিসেবে প্রতিটি চামড়ার মূল্য আসে ২২৩.০৬ টাকা করে। এতে লোকসানের মুখে পড়ে সিসিক। সেই সঙ্গে ক্ষতির মুখে পড়ে মাদরাসাগুলোও। তবে এ লোকসানের দায়ভার নিজের ঘাড়ে নিয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সংরক্ষণ ও পরিবহন খরচ নিজে থেকে পরিশোধ করেন এবং প্রাপ্ত সব টাকা মাদরাসাগুলোর মাঝে বণ্টন করে দেন।

সোমবার নগরভবনে মতবিনিময় সভা করে পশুর চামড়ার মূল্য মাদরাসাগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছেন মেয়র আরিফ।

এসময় আরিফুল হক বলেন, জাতীয় সম্পদ কোরবানির পশুর চামড়া বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়ার থেকে রক্ষায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন গত বছর এই উদ্দ্যোগ নেয়। কিন্তু ঢাকায় একটি সিন্ডিকেট চামড়ার দাম বাড়াতে দেয়নি। এছাড়া ঈদের দিন সন্ধ্যার আগে যেসব চামড়া সংগ্রহ করা গেছে সেগুলোর দাম ভালো পাওয়া গেছে। তবে এ ক্ষতির আঁচ মাদরাসাগুলোতে লাগতে দেওয়া হয়নি। চামড়া সংরক্ষণের সম্পূর্ণ ব্যয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন বহন করেছে।  

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চামড়া বিক্রি করা মাদরাসার প্রতিনিধিবৃন্দ, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুল হকসহ প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/এএম

 



এই পাতার আরো খবর