রোমানিয়ার ভিসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রী ইউনিয়নের রঘুরাশি গ্রামের মাওলানা আবদুল হকের ছেলে নাহিদুল ইসলাম মারুফ (২০)। কিন্তু ভিসা নিয়ে নয়, কফিন বন্দী হয়ে তার লাশ ফিরেছে দেশে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃত্যুর ৬ দিন পর বৃহস্পতিবার তার লাশ দেশে পৌঁছায়। গত ১৪ অক্টোবর ভোররাতে দিল্লিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় মারুফ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১৩ অক্টোবর দিল্লিস্থ রোমানিয়া দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেন মারুফ। ১৪ অক্টোবর ভোররাতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর তার মরদেহ দিল্লির একটি হাসপাতালে রাখা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার তার মরদেহ দেশে ফেরে।
রাত সাড়ে ৮টায় জকিগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রী রহমানিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসা মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মারুফের বাবা বীরশ্রী রহমানিয়া ইবতেদিয়া মাদ্রাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল হক জানান, রোমানিয়ার ভিসার জন্য সে ভারত গিয়েছিল। দূতাবাসে আবেদনও জমা দিয়েছিল। কিন্তু ভিসা নিয়ে তার আর দেশে ফেরা হয়নি। ৩ ভাই ২ বোনের মধ্যে মারুফ ছিল দ্বিতীয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত