সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় কলেজছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আবুল হাসান হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল অভিযুক্তরা এখনো অধরা।
হাসানের পরিবারের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহলের ইশারায় মামলার প্রধান আসামি সিলেট ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি আবু দারদা জিহাদসহ তার একান্ত সহযোগিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। ফলে সুবিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন হাসানের পরিবার।
তবে পুলিশ বলছে- এমন কোনো ‘ইশারা’ নেই। সব আসামি ধরতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
খুন হওয়া আবুল হাসানের বড় ভাই ও মামলার বাদী মো. আবু সাঈদ মুঠোফোনে বলেন, তার ছোট ভাই (হাসান) সিলেট সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। গত ২০ জানুয়ারি রাতে মোমিনখলা জামেয়া দারুল হুদা মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে আবুল হাসানসহ তার বন্ধুরা গিয়েছিলেন। সেখানে ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি আবু দারদা জিহাদ ও তার ছোট ভাই আবু দাউদ জামীর সঙ্গে ‘সিনিয়র-জুনিয়র’ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান হয়।
২৫ জানুয়ারি আবুল হাসানকে মোমিনখলা এলাকায় ডেকে নিয়ে যান আবু দারদা। এ সময় তার সঙ্গে জাবের আহমদ, সায়েক আহমদসহ আরও কয়েকজন ছিলেন। সেখানে যাওয়ামাত্র আবুল হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। অন্যরাও আহত হন।
সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল হাসান ২ ফেব্রুয়ারি মারা যান।
এদিকে, গত ২৬ জানুয়ারি হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা আবু দারদা জিহাদ, তার ভাই আবু দাউদ জামীসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মো. আবু সাঈদ। হাসান মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
সাঈদ অভিযোগ করে বলেন, আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এজন্য প্রভাবশালী মহলের ইশারায় মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, আবুল কালাম রিপন নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। আসামি ধরা- না ধরা নিয়ে কোনো চাপ নেই।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত