সিলেটে ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বছরের শুরুতেই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে অসময়ে ডেঙ্গুর ছোবল ভালো লক্ষণ নয় বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গুকে গ্রীষ্মকালীন রোগ হিসেবে ধরে থাকেন। সাধারণত গ্রীষ্মকাল (বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ) জুড়ে এই রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। তবে সিলেটে এবার অসময়েই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। পৌষ ও মাঘ অর্থাৎ শীতকালে সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক। বর্ষার মৌসুমে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কাও রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় জানিয়েছেন, চলতি বছরের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত (মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারি) সিলেট বিভাগে ছয়জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ ফনি ভূষণ সরকার বলেন, এবার বছরের শুরুতেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর তা ছিল স্তিমিত। এ বছর সিলেটে বিভাগে যে ছয়জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন তারা সকলেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। এরই মধ্যে এডিস মশার লাভা নির্মূলে স্থায়ী সমাধানের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখন পুরো দেশেই ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। তাই আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ মেয়র মহোদয়কে আমাদের কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা দিয়েছি। নগরীতে মশক নিধনের জন্য স্থায়ী সমাধানের কথা এই রূপরেখায় বলা হয়েছে। বিশেষত প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ যেমন চলে ঠিক একইভাবে মশক নিধনের কার্যক্রম চলাতে হবে। ভাড়া করা লোক দিয়ে মুজুরীভিত্তিক এই সমাধান হবে না। স্থায়ীভাবে প্রতি ওয়ার্ডে ৫ জন কর্মী ও একজন সুপারভাইজার নিয়োগ দিয়ে কাজ চালাতে হবে।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ অপর্যাপ্ত ও অপরিকল্পিত বলছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। তারা বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই নগরীর কাউন্সিলররা উদ্যোগ নিয়ে সবার মধ্যে ডেঙ্গু সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত