ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কানাইঘাটে জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত আরও একজনের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
প্রবাসী ছয়ফুল্লাহ

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল মাঝবড়াই গ্রামের জামে মসজিদের সীমানার বিরোধের জের ধরে গত ২২ এপ্রিল সংঘর্ষে গুরুতর আহত দুবাই প্রবাসী ছয়ফুল্লাহ রবিবার সকাল মৃত্যুবরণ করেছেন।

ঘটনার দিন সংঘর্ষে তার আপন ছোট ভাই সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন নিহত হন। আপন বড় ভাই ও ভাতিজাদের হাতে ঘটনার দিন ছোট ভাই জয়নাল আবেদীন এবং ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বড় ভাই ছয়ফুল্লাহ (৬০) মারা যান।

অপরদিকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ছয়ফুল্লাহ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় দুশ্চিন্তায় তার পুত্রবধূ এক সন্তানের জননী রুমানা বেগম (২৫) শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। 

হামলার ঘটনায় দুই ভাই নিহতের পর তাদের শোকে পুত্রবধূ আকস্মিক মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।     হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী রুমানা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ছয়ফুল্লাহ’র পুত্রবধূ। সংঘর্ষের ঘটনায় হারাতৈল মাঝবড়াই গ্রামের মৃত আছদ আলীর পুত্র নিহত ইউপি সদস্য জয়নাল   আবেদীনের পুত্র মো. কামরুজ্জামান মুসা বাদী হয়ে আপন চাচা সমছুল হক ও চাচাতো ভাই আলমাছ উদ্দিন, কামাল আহমদ, সুহেল আহমদ, রুহুল আহমদসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করে কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামি আপন চাচা সমছুল হক ও তার দুই ছেলে সুহেল আহমদ ও কামাল আহমদকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও জোড়া খুনের ঘাতক আলমাছ উদ্দিনসহ অপর আসামিদের এখন পর্যন্ত থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। 

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া গুরুতর আহত ছয়ফুল্লাহ’র লাশ ময়নাতদন্তের পর তার পরিবারের কাছে আগামীকাল সোমবার হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার ওসি (তদন্ত) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান সিওমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়ফুল্লাহ’র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর