ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সিলেটের ৪ উপজেলায় ভোট নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
প্রতীকী ছবি

আগামীকাল ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। সিলেটের চার উপজেলায় ৫৮ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে লড়বেন। চার উপজেলার ৩০২টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট বাক্সেসহ অন্যান্য নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠিয়ে দিয়েছে নির্বাচন অফিস।

বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সিলেটে ভোট নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। এছাড়া র‍্যাব ও বিজিবির পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে পুলিশ, র‍্যাব, আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত এসব বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রোধে সাইবার নজরদারি শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থা।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তথ্য মতে, নির্বাচনে সিলেটের চার উপজেলায় ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিটি উপজেলায় দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছড়া র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার ভিডিপির স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে। কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য আজ থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দু’জন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি)-এর নেতৃত্বে ছয়জন পুরুষ ও চারজন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন।

কোনো কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরো একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিসি ও এপিসিরা (৩ জন) অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্যরা অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন। তারা সকলেই ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবেন।

সিলেট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নির্বাচন প্রস্তুতি, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনপরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছেন পুলিশ। নির্বাচন ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। ভোটকেন্দ্র থেকে শুরু করে সর্বত্র গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। তারা সবাই শুক্রবার পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে।

নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি করে মোবাইল টিম টহলে থাকবে। এ ছাড়া প্রতিটি থানায় পুলিশ ও সশস্ত্র আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্যদের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা হচ্ছে। থানা এলাকায় র‍্যাব ও বিজিবি টহল দেবে। প্রয়োজন অনুযায়ী তারা অপারেশনে যাবে। ভোট গ্রহণের সময় কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর