ঢাকা, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সিলেটে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:

সিলেটে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে চার উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। কয়েকটি কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, জাল ভোট প্রদানসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাল ভোটের অভিযোগ সিলেট সদরের দুটি কেন্দ্রে ভোট বর্জন করেছেন চা শ্রমিকরা। অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ করা হয়েছে একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। 

সিলেট সদর উপজেলার  বেশ কিছু কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের দলদলি চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুরে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলে চা শ্রমিকরা ভোট বর্জনের ঘোষনা দেন। বিশৃঙ্খলার কারণে কেন্দ্রে এক ঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। বিকেল ৩টার দিকে লাক্কাতোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়েও দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। ওই কেন্দ্রেও চা শ্রমিকরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক মোগলগাঁও ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে তার এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়ার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করেন। জাল ভোটারের ছবি তুলতে গিয়ে সিলেট সদর উপজেলার ঘোপাল কেন্দ্রে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের সমর্থকের হামলার শিকার হন ফটো সাংবাদিক রেজা রুবেল। তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার কায়স্থগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রথমে বর্তমান চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম ও আবু সুফিয়ান উজ্জ্বলের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে এতে যুক্ত হন শাহিদুর রাহমান চৌধুরীর জাবেদের সমর্থকরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এছাড়া বরায়া কেন্দ্রেও মঞ্জুর কাদির শাফির সমর্থকদের সাথে অন্য দুই প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিডি প্রতিদিন/এএম



এই পাতার আরো খবর