ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চেরাপুঞ্জিতে কমেছে বৃষ্টি, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ঢল থামায় বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোতেও বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। সিলেটের নদ নদীগুলো বেশকয়েটি পয়েন্টের পানি এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো পানিবন্দি অনেক মানুষ।

সুরমার পানি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিচু এলাকায় ঢুকে পড়ায় মহানগরের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি বাসা ও রাস্তায় চলে আসায় মহানগরের উপশহর, সুবহানিঘাট, যতরপুর, মেন্দিবাগ, কাজিরবাজার, মাছিমপুর, তালতলাসহ বেশ কিছু এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে আছেন।

সুরমা নদীর সিলেট, কানাইঘাট ও কুশিয়ারা নদীর আলশিদ, শেওলা পয়েন্টের পানি এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদী সিলেট শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার এবং কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর কুশিয়ারা নদী আলশিদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৯২.২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। 

এদিকে, পাহাড়ি ঢলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জের পানি কমতে থাকায় দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ। গ্রামাঞ্চলের পানি কমতে শুরু করায় ভেসে উঠছে ক্ষয়-ক্ষতির চিহ্ন। বিশেষত বন্যার পানিতে গ্রামীণ সড়কগুলো ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়েছে। এছাড়া কৃষিতেও বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে এই বন্যা। উন্নতি হয়েছে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির।

জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, বন্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমেছে। শুক্রবার জেলায় বন্যা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ আর শনিবার সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯ হাজার ৩৩ জনে। আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা প্রায় ৫ হাজার মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যেই বাড়িতে ফিরেছেন দেড় হাজার মানুষ।

সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৭ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৫৪ মি.মি বৃষ্টি হয়েছে। এর আগের দিন যা ছিল ৫ মি.মি।

ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল না নামলে আগামী ৩-৫ দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর