ঢাকা, সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বিশ্বনাথে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
সুহেল আহমদ চৌধুরী

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সদ্য অপসারণকৃত চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) সুহেল আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। 

পরিকল্পিত আক্রমণ ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে এ মামলা দিয়েছেন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. লিলু মিয়া।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ রমা প্রসাদ চক্রবর্তী। তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে গেল বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) থানায় মামলাটি রের্কড করা হয়েছে। এটি তদন্তাধীন আছে।

জানা গেছে, গেল ২২ আগস্ট সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় সুহেল আহমদ চৌধুরীর সাথে জাহাঙ্গীর নামের একজন ছাড়াও ৭-৮ জন অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সুহেল আহমদ চৌধুরী আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্র ছাড়ায় বেড়ে উঠা চাঁদাবাজ ও মানহানিকারী প্রকৃতির লোক। তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত। বিভিন্ন অপরাধে থানার ১১টি মামলায় তিনি আসামি। ঘটনার দিন গেল পহেলা এপ্রিল রাত ৯টার দিকে জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের কারিকোনা এলাকার বায়তুর মামুর জামে মসজিদের সামন থেকে সিলেটগামী বাসে উঠছিলেন মামলার বাদী। তখন ১ ও ২ নং আসামি পূর্ব শত্রুতার জেরে বাদীকে ঘেরাও করে আক্রমণ করেন। জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন বাদীর পকেটে থাকা ১ লাখ টাকা।

মামলার বাদী মো. লিলু মিয়া জানান, সমাজে কোন অন্যায়কারীদের স্থান নেই। স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের অপকর্মের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমাকে আমানবিক ভাবে আক্রমণ-নির্যাতন ও মানহানি করা হয়েছে। আমি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে সাথে যুক্ত থাকায় তখন ন্যায় বিচার পাইনি। স্বৈরশাসক ও তাদের চামুন্ডারা আমাদেও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সুষ্ঠু বিচার থেকে বঞ্চিত রেখেছিল। বর্তমানে তাদের জুলুম-নির্যাতন আর দুঃশাসনের দিন শেষে হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার প্রত্যাশি।

প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করলে অভিযুক্ত সুহেল আহমদ চৌধুরীর জানান, দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে অপ্রত্যাশিত একই ঘটনার সূত্র ধরে আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেয়া হচ্ছে। থানায় দেয়া প্রথম মামলায় আমার বিরুদ্ধে হয়েছে চার্জশিটও। বিজ্ঞ আদালতে এটি বিচারাধীন আছে। এর আগে একই অভিযোগে হওয়া আরেকটি মামলা বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দেন। এ নিয়ে ৪টি মামলা দেয়া হয়েছে। তথ্য গোপন করে আদালতকে বিভ্রান্ত করে এসব করা হচ্ছে। আমি আইনের দ্বারস্থ হচ্ছি। আমি বিএনপির রাজনীতিতে অতীতেও ছিলাম, দুঃসময়েও থেকেছি। বর্তমানেও আছি আর থাকবো।     

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর