ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নিলামে বিএমডব্লিউর দাম উঠলো ৫৩ লাখ
অনলাইন ডেস্ক

পর্যটন সুবিধায় আনার পর চট্টগ্রাম বন্দরে আটক গাড়ির নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে একটি বিএমডব্লিউ’র। গত ৩ থেকে ৪ নভেম্বর অনলাইনে ও দেশের ৫টি নির্ধারিত স্থানে এসব গাড়ির পঞ্চম নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার প্রতিটি গাড়ির বিপরীতে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। নিলামে ১১২টি গাড়ি তোলা হলেও ২টি গাড়ি কেনার জন্য কেউ দর জমা দেননি। এবার নিলামে তোলা গাড়িগুলোর সংরক্ষিত মূল্য ছিল ১৮০ কোটি টাকা। 

সর্বোচ্চ দাম উঠা বিএমডব্লিউ গাড়িটি জার্মানিতে ২০০৭ সালে তৈরি। 730LD SE AUTO মডেলের এ গাড়ি ৪ আসনের। ২৯৯৩ সিসির সিলভার কালারের গাড়িটির চাবি ও রাবার চ্যানেল পাওয়া যায়নি। হুইল ও ব্যাটারি ব্যবহারের অনুপযোগী। সব জেনে বুঝে এ গাড়ির জন্য ফারজানা ট্রেডিং দর দিয়েছে ৫৩ লাখ টাকা। কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ধরেছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৯৬০ টাকা।

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার ডিটি রোডের দেওয়ান হাটের খাজা সায়মা টাওয়ারের ফারজানা ট্রেডিং গাড়িটি কেনার জন্য নিলামকৃত মূল্যের ১০ শতাংশ হিসাবে উত্তরা ব্যাংক থেকে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার পে অর্ডার কাস্টম হাউসের অনুকূলে জমা দিয়েছে। তবে নিলামে এ গাড়ির (লট) জন্য সর্বোচ্চ দর হাঁকালেও গাড়িটি আদৌ তারা নিতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। কারণ এর আগে এসব গাড়ির চারবার নিলাম হয়েছে, একেকটি গাড়ির দাম কোটি টাকা বেশি উঠেছে। কিন্তু নানা জটিলতায় এসব নিলাম বাতিল হয়েছে।

নিলামের দায়িত্বে থাকা কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. আল আমিন বলেন, পর্যটনসুবিধায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা আটক গাড়ির পঞ্চমবারের নিলামে ১১২টি গাড়ি তোলা হয়। এর মধ্যে ১১০টি গাড়ি কেনার জন্য ৫৫১টি দর জমা দিয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। আগের চারবারের চেয়ে এবার ভালো সাড়া মেলেছে। যৌক্তিক দর পর্যালোচনা করে নামীদামি ব্র্যান্ডের গাড়িগুলো বিক্রির অনুমোদন দেবে কমিটি। যেগুলো বিক্রির অনুমোদন পাবে না সেগুলো আবারও নিলামে তোলা হবে। সর্বোচ্চ দরদাতা বিডাররা গাড়ি খালাসের সময় ১০ শতাংশ কর ও সাড়ে ৭ শতাংশ ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। কিছু গাড়ির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রও লাগবে।  

 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর