ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দেশে বাড়ছে ওভারিয়ান ক্যান্সার
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

‘বাংলাদেশে ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ১৫ থেকে ২০ শতাংশ নারী জিনগত কারণে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন যেকোনো কারণেও ওভারিয়ান ক্যান্সারে নারী আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নারীরা সাধারণত যে ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে একটি ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার। সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ নারীরা এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।’  

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাব অডিটোরিয়ামে ওভারিয়ান ক্যান্সার বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব তথ্য প্রকাশ করেন। 

প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের প্রখ্যাত গাইনী বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. রোকেয়া বেগম ও ঢাকার প্রফেসর ডা. সাবেরা খাতুন। সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন কলকাতার ‘আমরি’ হাসপাতালের গাইনোকলজিক্যাল অনকোলজিস্ট ডা. রাহুল রায় চৌধুরী।   

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গাইনী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাহমিদা রশীদ স্বাতির সঞ্চালনায় ওভারিয়ান ক্যান্সারের চিকিৎসা, অপারেশন ও ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে নবউদ্ভাবিত পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন ওজিএসবি চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি প্রফেসর ডা. কামরুন নেসা রুনা, চমেকের অধ্যক্ষ ও গাইনী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. সাহেনা আকতার, ওজিএসবি’র জেনারেল সেক্রেটারি প্রফেসর ডা. শর্মিলা বড়ুয়া, প্রাক্তন সভাপতি প্রফেসর ডা. রওশন মোরশেদ, মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. শামীমা সিদ্দিকা, প্রফেসর ডা. নাসরিন বানু ও ডা. ফাহমিদা ইসলাম চৌধুরী। সেমিনারে চট্টগ্রামের সকল পর্যায়ের স্ত্রী রোগ চিকিৎসকেরা অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ওভারিয়ান ক্যান্সারের হার উদ্বেগজনক। নারীর প্রজননতন্ত্রের ক্যান্সারসমূহের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের পরেই ওভারিয়ান ক্যান্সারের অবস্থান। এই ক্যান্সার ডিম্বাশয়কে সংক্রমিত করে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত পেলভিক জোনে (শ্রোণি এলাকা) ও পেটে না ছড়ায় ততক্ষণ পর্যন্ত বুঝা যায় না। এই ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ একেবারে নাই বললেই চলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যথা হয় না। তারপরও যে লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয় তার একটি হলো- ক্ষুধামন্দা।    

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর



এই পাতার আরো খবর