ঢাকা, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

৩৭ বছর পরে চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ডিডিটির বৃহত্তম মজুদ
অনলাইন ডেস্ক
ছবি : জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা

গত কয়েক দশক ধরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের কেন্দ্রস্থলে মজুদ করে রাখা হয়েছিল বর্তমানে নিষিদ্ধ কীটনাশক ডিডিটি। ধারণা করা হয়, ক্ষতিকর বিষাক্ত ডিডিটির এটি বিশ্বের বৃহত্তম মজুদ, অবশেষে যা বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধানে বিনষ্ট করতে ফ্রান্সে পাঠানো হচ্ছে।

ডিডিটি অপসারণ, চট্টগ্রামের বিপদজনক রাসায়নিক দ্রব্যের  গুদাম পরিচ্ছন্নতাকরণের অত্যন্ত জটিল আন্তর্জাতিক এ ব্যবস্থাপনাকে নেতৃত্ব দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।

বাংলাদেশে ১৯৮৫ সালে ৫০০ মেট্রিক টন কীটনাশক আমদানি করা হয়েছিল, ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য। অথচ এই চালানটি  পরবর্তী পর্যায়ে প্রযুক্তিগতভাবে অকার্যকর হিসেবে গণ্য করা হয়। ডিডিটির এই চালানটি পৌঁছানোর পর এটিকে, আগ্রাবাদ জেলার ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) এর মেডিকেল সাব-ডিপোতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল। বছরের পর বছর ধরে, পড়ে থাকার ফলে কীটনাশক বহনকারী বাক্স এবং ব্যাগগুলির অধিকাংশই ছিঁড়ে গিয়ে সাদা ডিডিটি পাউডারের স্তূপগুলি উন্মোচিত হয়ে যায়। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে ডিডিটির উপর  নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, কিন্তু  সেটির এ বিশাল চালানটির কথা সবাই সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়  আর তা  চট্টগ্রামে থেকে যায়।

এফএও-র, অ-প্রচলিত কীটনাশক বিশেষজ্ঞ মার্ক ডেভিস  ডিডিটির এই উত্তরাধিকার সূত্রে মজুদকে 'অত্যন্ত অস্বাভাবিক' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমার জানামতে  আর কোথাও একটি  সুনির্দিষ্ট এলাকা থেকে সর্ব বৃহৎ পরিমাণ কীটনাশক অপসারণের এমন ঘটনা আর নেই। এটি  অত্যন্ত অস্বাভাবিক যে এটি একটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে সংরক্ষণ করা হয়েছিল শুধু এ কারণে যে তা  দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে ছিল’’।

ডিডিটির সর্বশেষ চালানটি শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায়। গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটির (জিইএফ) অর্থায়নে, বাংলাদেশ সরকার ও এফএও বাংলাদেশের সহ-অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানটির পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় এসব ডিডিটি অপসারণ করা হয়েছে।

  বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর