ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ঈদের ছুটিতে উপচেপড়া ভিড় চট্টগ্রামের বিনোদনকেন্দ্রে
ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

ঈদের ছুটিতে জমে উঠেছে চট্টগ্রামের বিনোদনকেন্দ্রগুলো। নগরের ফয়েসলেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, চট্টগ্রাম শিশু পার্ক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে থাকা সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী বিচ, আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে ছিল ঈদের দিন থেকেই। দুই বছর করোনার কারণে এসব পর্যটনকেন্দ্রে দর্শনার্থী ছিল না একদম। তবে এবার সে চিত্র বদলে দিয়েছে দর্শনার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, নগরের ফয়েস লেক সীওয়াল্ডে সময় গড়িয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের আগমনে কোলাহল বাড়ছে। ঈদের প্রথমদিন বিকেলে দর্শনার্থীদের আগমন ঘটলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন সকাল থেকে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। বিশেষ করে সকাল থেকেই চট্টগ্রামের একমাত্র ওয়াটার পার্কে কিশোর কিশোরী ও তরুণ তরুণীদের আগমনের হার বেশি। ডিজে মিউজিকের তালে তালে সীওর্য়াল্ডের  ওয়েভ পুল ড্যান্সিং জোনে নাচে গানে মুখরিত। বিকেলের সময় ফয়'স লেক এ্যামিউজমেন্ট পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ে থাকে, এখানে বয়স ভেদে বিভিন্ন রাইডস উপভোগ করে। যারা প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে চায় তারা লেক ভ্রমণকেই বেছেনিচ্ছেন। সর্বোপরি বলা যায় আবহাওয়া ভালো  থাকা নির্মল বিনোদনের আয়োজন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার কারণে প্রচুর দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।

চট্টগ্রামের ফয়েস লেক কনকর্ডের ডেপুটি ম্যানেজার (মার্কেটিং) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, আগত দর্শনার্থীরা কেউ যেন কারো আনন্দে ব্যাঘাত না ঘটায়, সকলেই স্বাধীনভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সে বিষয়ে সজাগ আমরা। নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি বিশেষভাবে জোর দেয়া হচ্ছে কারণ সকলেই যেন হাসিমুখে বাড়ীতে ফিরতে পারেন।

শুধু ফয়েস লেক সী ওয়ার্ল্ড নয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়ও ছিল ভিড়। চিড়িয়াখানায় বর্তমানে প্রায় ৭৩ প্রজাতির ছয় শতাধিক পশু-পাখি আছে। বাঘ, সিংহ, ক্যাঙারু, ওয়াইল্ড বিস্ট- বৈচিত্র্যময় প্রাণীর সম্ভার এবার চিড়িয়াখানায়। ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কের পাশেই এই চিড়িয়াখানায় ঈদের বন্ধে কমপক্ষে অর্ধলাখ মানুষের সমাগম ঘটে।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসা গৃহিনী সাইমুন নাহার বলেন, ঈদের ছুটিতে সবকিছু বন্ধ থাকে। শহরেও লোকজন থাকে না। যার কারণে এই সময়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে সময় কাটানো যায। সন্তানকে পশুপাখির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য বছরে বেশ কয়েকবার আসা হয় চিড়িয়াখানায়। তবে করোনার কারণে দুই বছর আসা হয়নি। এবার ঈদের ছুটিতে বরাবরের মতো পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। নতুন নতুন প্রজাতির প্রাণী এসেছে চিড়িয়াখানায়। বাচ্চারা এসব প্রাণী দেখে তাদের নাম জানতে পারছে, স্বচক্ষে দেখছে শহুরে জীবনে এটা অনেক প্রাপ্তি তাদের জন্য।

এছাড়াও শিশু পার্ক, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত পারকি বিচ, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রাম নেভাল, কাজীর দেউড়ি শিশু পার্ক, মীরসরাই মহামায়া লেকসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। 

বিডি প্রতিদিন/এএ



এই পাতার আরো খবর