ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

৬৫ ঘণ্টাও হদিস মেলেনি অপহৃত বাসযাত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড থানার বাড়বকুণ্ড এলাকা থেকে মো. কালাম (৪৮) নামে এক বাস যাত্রীকে অপহরণের ৬৫ ঘণ্টা পরও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় তাকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দিতে গিয়ে তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪০) ও আরো দুই নারীও অপহৃত হন। পুলিশ গত শনিবার ভোরে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করলেও এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কালামকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সীতাকুণ্ড থানার (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘অপহরণকারী কারা, তারা কয়জন, এসব বিষয় উদ্ধার হওয়া নারীদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা চলছে। তবে আপাতত কালামকে জীবিত উদ্ধার করার দিকে মূল ফোকাস দেওয়া হচ্ছে। থানা পুলিশের সাথে হাইওয়ে পুলিশ ও র‌্যাবও অভিযানে অংশ নিচ্ছে।’

পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃত কালামের বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকায়। তিনি ঢাকামুখী একটি বাসের যাত্রী ছিলেন। বাসটি বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বিকল হলে সেটি ঠিক করার জন্য বাড়বকুণ্ড বাজারে থামানো হয়। এ সময় অন্য এক যাত্রীকে নিয়ে পাশের দোকানে চা খেতে যান কালাম।

পরে অপহরণকারীরা কালামের স্ত্রীকে ফোন করে রাতের মধ্যে ৮০ হাজার টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। তার স্ত্রী জাহানারা, দুই আত্মীয় শাহানা বেগম (৫০) ও মরিয়ম বেগমকে (৫৫) সাথে নিয়ে মধ্যরাতের কিছু সময় পর মুক্তিপণের টাকা দিতে বাড়বকুণ্ড বাজারে যান। সেখান থেকে তাদের তিনজনকে অপহরণ করে পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা।

শুক্রবার ভোরে কালামের ভাইয়ের স্ত্রী টিপু বেগম জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে কল করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ প্রায় ২৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বাড়বকুণ্ডের পাহাড়ি এলাকা থেকে তিন নারীকে উদ্ধার করে। পুলিশের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে অপহৃত কালামকে নিয়ে পাহাড়ের গহীনে চলে যান অপহরণকারীরা।

উদ্ধার হওয়া কালামের স্ত্রী ও অপর দুই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা তাদের তিনজনকে বেধড়ক পিটিয়েছেন। এর ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের উদ্ধারের পর পুলিশ চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় কালামের ভাইয়ের স্ত্রী টিপু বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৯-১০ জনকে আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, ‘কালামকে অপহরণের পর সীতাকুণ্ড এলাকার পাহাড়ে নিয়ে গেছে বলে আমরা জেনেছি। তাকে উদ্ধারের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। র‌্যাবসহ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তাকে উদ্ধারের পর বাকি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর