ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

'হালদা নদীকে রক্ষা করতে হবে'
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

সাবেক মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেছেন, উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদী কেবল দেশের একটি নদী নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্য। প্রাকৃতিক এ নদীর সঙ্গে আমাদের অনেক কিছুই জড়িয়ে আছে। নদী থেকে মাছ পাই আমরা, নদীটি পরিবেশ রক্ষা করছে, এ নদীর উৎপাদিত মাছের পোনা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনে। পুরো জাতিকে এ নদী টাচ করে। দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও অর্থনৈতিক স্বার্থে হালদা নদীকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।

‘প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী তথা বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ এর ‘অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, উন্নয়ন সংস্থা ইন্ডিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ) ও পিকেএসএফের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিএফের নির্বাহী পরিচালক  জহিরুল আলম। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, মৎস্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবদুস সাত্তার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সের অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকী, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানি, মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরী, হালদা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম জেলার মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র, বন গবেষণা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইডিএফের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অধ্যাপক শহীদুল আমিন চৌধুরী।

সেমিনারে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেছেন, হালদা নদীর সঙ্গে সরকারি অনেক বিভাগের সরাসরি সম্পৃক্ত। এ নদীকে রক্ষায় কাজ করছে পরিবেশ অধিদপ্তর, নৌ পুলিশ, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়- জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগ। কিন্তু সবগুলো বিভাগকে সমন্বয় করতে দরকার একটি কর্তৃপক্ষ। তাই আমরা মনে করি ‘সেক্রেটারিয়েট অব হেরিটেজ কমিটি’ গঠনের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা যায়। এ কমিটি সবগুলো দপ্তরকে সমন্বয় করবে। সমন্বয় না থাকলে কোনো কাজের শতভাগ সফলতা আসে না। তাই সেক্রেটারিয়েট অব হেরিটেজ গঠন করে হালদা নদীকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।  

তিনি বলেন, দেশের স্বার্থেই হালদা নদীকে রক্ষা করতে হবে। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত পরিকল্পনা এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। না হয় বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করলে সে কাজের আশানুরূপ সফলতা মিলবে না। মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, হালদা নদীকে নানাভাবে দূষণ করা হচ্ছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএম



এই পাতার আরো খবর