ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জাহাজ জিম্মি : তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে
মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি

সোমালিয়ান জলদস্যুদের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্পোরেশনের সঙ্গে দস্যুদের আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আলোচনা শেষ হয়ে ২৩ নাবিক ও এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের জিম্মিদশার অবসান হবে।

কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্ঠা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে জিম্মিদশার অবসান হবে। ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে পারব। তবে এখনো কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবি করেনি সোমালিয়ান জলদস্যুরা।’

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের দাবি, ইইউ নেভাল ফোর্স এবং পাল্টল্যাণ্ড পুলিশের তৎপরতার কারণে ভালোই চাপে রয়েছে জলদস্যুরা। তাদের তৎপরতা ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ভালোই অগ্রগতি হচ্ছে আলোচনা। এখন চলছে দর কষাকশি। আশা করা যায় ঈদের আগেই নাবিক ও জাহাজ জলদস্যু মুক্ত হবে।

জানা যায়, ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করা আবদুল্লাহর জিম্মি সমস্যা সমাধানে গত কয়েকদিনে ভালোই অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজ উদ্ধারে ইইউ নেভাল ফোর্সের তৎপরতা এবং পান্টল্যান্ডের ভূমির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশ অভিযান শুরু করলে দস্যুদের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ চাপের কারণে আলোচনার দ্রুতই অগ্রগতি হচ্ছে। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মুক্তিপণের বিষয়টা সমঝোতা হলে এতে যুক্ত হবে বিমা প্রতিষ্ঠানও। তিন পক্ষের আলাপ আলোচনায় নির্ধারণ করা হবে মুক্তিপণ প্রদানের প্রক্রিয়া। অতপর তিন পক্ষ মিলে মুক্তিপণের অর্থ পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি পরিবহন সংস্থাকে নিয়োগ করবে। ওই পরিবহন সংস্থা নগদ ডলার কিংবা জলদস্যুদের চাহিদা মতো মুদ্রা পৌঁছে দেবে নির্ধারিত স্থানে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আবর আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। জাহাজে ২৩ নাবিক রয়েছেন। যাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটি চট্টগ্রাম ভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্পোরেশনের। জাহাজটি সাধারণ পণ্য পরিবহন করে। গত ২০ মার্চ দুপুরে জলদস্যুদের প্রথম ফোন পায় মালিকপক্ষ। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর