ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামে থেরাপিস্ট ও বিশেষায়িত স্কুল অপ্রতুল
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে থেরাপিস্ট এবং বিশেষায়িত স্কুলের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এবং পেশাগত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় শিক্ষিত শিক্ষার্থীরা এই বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত না হওয়ায় এ বিষয়ে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতিও হচ্ছে না। প্রতিটি অটিজম শিশুর আচরণ স্বতন্ত্র হওয়ার কারণে তাদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা ভিন্ন। তাই ১:১ বা ক্ষেত্র বিশেষ ১:২ ব্যবস্থায় দ্রুত অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়। তবে বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা পরিবারের অন্যান্য স্বাভাবিক সন্তানের লেখাপড়ার পাশাপাশি অটিজম শিশুর জন্য অতিরিক্ত ব্যয় ভার বহনে অক্ষম। পরিচালন ব্যয় বেশি হওয়ায় যাথাযথভাবে স্কুল সমূহ পরিচালনা অত্যন্ত কঠিন।

১৭তম বিশ অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলা হয়। সোমবার বিকালে নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক টিংকু চৌধুরী। সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেন নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি মো. রোসাঙ্গীর বাচ্চু, নির্বাহী সভাপতি খোরশেদুল আলম কাদেরী, অর্থ সম্পাদক-আশুতোষ দে, প্রশিক্ষণ ও সেমিনার সম্পাদক ড. সুদীপ পাল, নির্বাহী সদস্য প্রকৌ বিপ্লব দাশ, প্রদীপ চক্রবর্তী, মো. জমির হোসেন।

নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরি বলেন, ইউ.এস. সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, প্রতি ৩৬ জন আমেরিকান শিশুর মধ্যে ১ জনের অটিজম আছে এবং আমাদের দেশে প্রতি ১,০০০ জনে ১ হতে ৩ জন শিশু অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। গবেষণায় আরও জানা যায় যে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অটিজম হয়ে থাকে ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি। সম্মিলিতভাবে যত শিশুর ডায়াবেটিস, এইডস, ক্যান্সার, সেরিব্রালপালসি, সিস্টিকফাইব্রোসিস, মাসকুলারডিসট্রফি এবং ডাউন সিন্ড্রোম হয়ে থাকে তার চেয়ে অটিজমের সংখ্যাই বেশি। প্রতি বছর আমেরিকায় ২ মিলিয়ন লোকের মাঝে এএসডি (অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার) দেখা যায় এবং সারা বিশ্বে ১০ মিলিয়নের মতো লোকের অটিজম হয়ে থাকে। এছাড়া আমেরিকায় সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অটিজমের বিস্তার বার্ষিক ১০ থেকে ১৭ শতাংশ বেড়েছে। এই বৃদ্ধির নির্ভরযোগ্য কোনো কারণ ও ব্যাখ্যা জানা যায়নি। তবে উন্নত যথাযথ রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়ার প্রভাব এবং পরিবেশগত প্রভাব এর জন্য দায়ী বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর