ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামে অস্বাভাবিক ১১ মৃত্যু
তিন হাসপাতাল ভিজিট করবে ডেথ রিভিউ কমিটি
রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে অস্বাভাবিকভাবে ১১ জন প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত ডেথ রিভিউ কমিটি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করবে। পরিদর্শনে ডেথ  রিভিউ কমিটি রোগীর স্বজন, দায়িত্বশীল চিকিৎসক-কর্মকর্তার কথা বলবে এবং ফার্মেসিগুলো পরিদর্শন করবে। এ সব কাজ শেষে ঈদ পরবর্তী ১৫ কার্য দিবস পর সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।     

জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে চট্টগ্রামের তিনটি হাসপাতালে অস্বাভাবিকভাবে ১১ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ছয়জন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে একজন। এ নিয়ে নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য বিভাগ, শুরু হয় তোলপাড়। চিন্তায় পড়ছেন প্রসূতি রোগীরা।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম মেডিকেল  কলেজের অধ্যক্ষকে সভাপতি এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালককে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যের ‘ডেথ রিভিউ’ নামের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। কমিটি গত সোমবার ও বৃহস্পতিবার দুই দফা বৈঠকে বসে। আগামী মঙ্গলবার কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অধিকতর তদন্তের জন্য আরও ১৫ কার্যদিবস সময় নেওয়া হয়।

অন্যদিকে, অস্বাভাবিক কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জানাতে চট্টগ্রাম নগর ও উপজেলার বেসরকারি প্রায় ২৫০ হাসপাতালকে চিঠি দিয়েছেন সিভিল সার্জন।

ডেথ রিভিউ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আকতার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে দুইবার বসেছি। তবে আরও কিছু তথ্য এবং পর্যবেক্ষণ দরকার। তাই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে আরও ১৫ কার্যদিবস সময় নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা হাসপাতালগুলো পরিদর্শনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।

জানা যায়, তিনটি হাসপাতালে অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোর রোগীকে ব্যবহৃত ওষুধের ৪০টি  স্যাম্পল সংশ্লিষ্ট ফার্মেসিগুলো থেকে সংগ্রহ করে ঢাকার ল্যাবে পাঠায়। স্যাম্পলের মধ্যে আছে- এনেসথেসিয়ায় ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ ও রক্ত বন্ধে ব্যবহৃত ওষুধ। গত ২৭ ও ৩০ মার্চ এসব স্যাম্পল ঢাকায় পাঠানো হয়। ল্যাবে স্যাম্পলগুলোর ইস্টরিলিটি, কেমিক্যাল ও এন্ডোটকসিন টেস্ট করা হবে। 

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শামসুল আরেফিন বলেন, ঘটনার পর পরই আমরা তিনটি হাসপাতালের সিজারের সময় ব্যবহৃত ওষুধ সমূহের ৪০টি স্যাম্পল সংগ্রহ করে ঢাকার ল্যাবে পাঠিয়েছি। আগামী ১৫ দিন পর রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ল্যাবে পরীক্ষার পরই জানা যাবে ওষুধের অবস্থা। 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর