ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চমেকে স্বাচিপের কমিটি নিয়ে বিভক্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) শাখার গত ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কাউন্সিলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম আহ্বান করা হলে একাধিক নামের প্রস্তাব আসে। ফলে স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটি ওই দিন চমেক শাখা ঘোষণা করেনি।    

তবে অভিযোগ ওঠেছে, চমেক চিকিৎসকদের একটি অংশ গত ২৭ এপ্রিল চমেকের নতুন ভবনের নিচ তলার নিউ কনফারেন্স হলে ‘স্বাচিপের জরুরি কর্মী সভার’ নামে সংগঠনটির ব্যানারে সভা করা হয়েছে। বৈঠকে নতুন কমিটির জন্য সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম মনোনিত করে উপস্থিত সবার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। সেটা কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। তাছাড়া, চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ ওই জরুরি সভায় উপস্থিত থাকলেও কিছুই জানেন না স্বাচিপ চমেক শাখার সদ্য সাবেক আহ্বায়ক-সদস্য সচিব। 

এ নিয়ে সাধারণ চিকিৎসকদের মাঝে নানাভাবে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রকাশ্যে আসে স্বাচিপ চমেক শাখার বিভক্তি।  

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন বলেন, গত ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সম্মেলনে পূর্ববর্তী আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। সঙ্গত কারণে তাৎক্ষণিক কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। তখনই আমরা প্রস্তাবিত নামগুলোর তথ্য নিয়েছি। এখন আমরা সবার তথ্য যাচাই-বাছাই করে সুন্দর ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি কমিটি ঘোষণা করব। তিনি বলেন, চমেকে একটি পক্ষ জরুরি সভার নামে একটি মিটিং করার কথা শুনেছি। তারা নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে এমন সভা করতে পারেন। কিন্তু স্বাচিপ চমেকের নামে কোনো সভা করার এখতিয়ার আপাতত কারও নেই।

জানা যায়, ২০০৬ সালে ডা. মুজিবুল হক খানকে আহ্বায়ক ও ডা. নাছির উদ্দিন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে স্বাচিপ চমেক শাখা গঠন করা হয়েছিল। ১৮ বছর পর গত ২২ এপ্রিল চমেক শাখার সম্মেলন হয়। ওই দিন প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভা ও দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম আহ্বান করা হলে দুই পদে প্রায় ১১ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। একাধিক নাম হওয়ায় তাৎক্ষণিক কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটি তখন প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে যান।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর