কক্সবাজারের আদলে সাজানো হবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও পারকি সমুদ্র সৈকতসহ চট্টগ্রামের সব সমুদ্র সৈকত। আর নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা, পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা, অবকাঠামো নির্মাণ এবং সৈকতের সার্বিক উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান।
জেলা প্রশাসক বলেন, বিচ সংশ্লিষ্ট এলাকায় যথাযথ সেবা প্রদানের জন্য গাড়ি পার্কিং, বিভিন্ন সেবাগুলোকে জোন ভিত্তিতে ভাগ করা হবে। সমুদ্র সৈকতে আসা পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধাদির ব্যবস্থাসহ বিদেশিদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন নির্ধারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সৈকত এলাকায় নির্মাণ করা হবে পর্যাপ্ত টয়লেট, শৌচাগার, চেঞ্জিং রুম ও কাফেটেরিয়া। বিচ এলাকায় ফটোগ্রাফারসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানকারীদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে তাদের সাময়িক পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
একই সঙ্গে তাদের সেবার নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করা হবে। বিচ এলাকায় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বাজারের সঙ্গে মিল রেখে বিক্রয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিচ সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থায়ী অথবা অস্থায়ী অফিস স্থাপন করে যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এলাকা সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ইউনিফর্মধারী সেবক নিয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিচ সংশ্লিষ্ট এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া বিচ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বর্তমানে বিচ এলাকায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এটি ঠেকাতে গেজেটভুক্ত এলাকা চিহ্নিত করে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও অবৈধ দখলদারদের পুনর্বাসনপূর্বক উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই