চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ঈদুল আযহার দিন নগরীতে তৈরি হওয়া বর্জ্য ঈদের দিন বিকাল ৫টার মধ্যেই পরিষ্কার করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বুধবার দুপুরে চসিক কার্যালয়ে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সঙ্গে প্রস্তুতি সভায় মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ ঘোষণা দেন।
সভায় চসিক মেয়রকে ঈদের দিনেই কোরবানির বর্জ্য সরিয়ে ফেলার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত করা হয়। এ সময় মেয়র প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে বলেন।
চসিক মেয়র বলেন, আমরা বিকাল পাঁচটার মধ্যে নগরী থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করব। এ লক্ষ্যে আমাদের প্রায় ৪ হাজার কর্মী কাজ করবে। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে ৭টি জোনে ভাগ করে মোট ৩২২টি গাড়ি বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে। ৭টি জোনে ৭টি পানির ভাউজার থাকবে রক্ত পরিস্কার করার জন্য। কোন কর্মী অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য এম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে।
তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের ঈদের আগের দিনসহ মোট ৩দিনের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হল। এছাড়া নগরীর পার্শ্ববর্তী উপজেলার কোরবানীর চামড়া যাতে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রবশ করতে না পারে সে জন্য ঈদের দিনসহ পরবর্তী ২দিন নগরীর প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট স্থাপনসহ ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করব। পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমকে বেগবান করতে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হবে, যেখানে অভিযোগ জানালে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে। জবাইকৃত পশুর নাড়ি-ভুড়ির বর্জ্য সংরক্ষণ করে যথাস্থানে রাখার জন্য পলিব্যাগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাজী নুরুল হক, ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, মো. নুরুল আমিন, আবদুস সালাম মাসুম, জাফরুল হায়দার চৌধুরী, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, সহকারী প্রকৌশলী রুবেল দাশসহ পরিচ্ছন্ন ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/এএম