পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বত এভারেস্ট জয় করা চট্টগ্রামের ছেলে বাবর আলী দেশে ফিরেছেন। আর সাথে নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার একই অভিযানে হিমালয়ের দুইটি আট হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত শৃঙ্গ জয়ের কীর্তি।
আজ বুধবার বাবর আলী দুঃসাহসী এ অভিযানের গল্প শোনালেন সাংবাদিকদের। নগরীর চকবাজার আলিয়স ফ্রঁসেজ দ্য চট্টগ্রাম মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান অভিযানের নানা রোমাঞ্চকর স্মৃতির কথা।
বাবর আলী জানান, এভারেস্ট শীর্ষে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট অবস্থান করে নেমে আসার সময় এক আহত পর্বতারোহীর জন্য সৃষ্ঠ মানবজটে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়েছে। ওই উন্মুক্ত এলাকায় শুরু হয় তুষার ঝড়। সৌভাগ্যক্রমে বড় কোনও দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান তিনি।
ক্যাম্প-৪ এবং এর উপরের এলাকায় পর্বতারোহীরা অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করলেও বাবর চেষ্টা করেছেন অভিযানে যতটা সম্ভব কম কৃত্রিম অক্সিজেন নিতে। দুই পর্বতে তাঁর সাথী ছিলেন নেপালের গাইড বাইরে তামাং।
বাবর বলেন, এভারেস্টের উচ্চতা বেশি হলেও লোৎসে আরোহণ তুলনামূলক কঠিন। এভারেস্ট এবং লোৎসে শিখর হতে দেখা নিচের পৃথিবীর দৃশ্য এই জীবদ্দশায় ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। শিখর থেকে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে নেমে আসেন তিনি।
বেসক্যাম্প থেকে কাঠমান্ডু ফিরেন মাত্র ৩ দিনে। নিজের সফলতার পিছনে এই পর্বতারোহী কৃতিত্ব দেন নিজের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমকে। তিনি জানান, সুস্থ শরীরে ফিরে এসেছি এটা আমাকে আনন্দ দিয়েছে। চার কেজি ওজন কমেছে। এভারেস্ট ও লোৎসের চূড়া থেকে দেখা নিচের পৃথিবীর দৃশ্য এ জীবদ্দশায় ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।
অভিযানের স্মৃতি তুলে ধরে বাবর বলেন, এভারেস্টে অনেক মরদেহ দেখেছি। কিন্তু আমি মনোবল হারাইনি। এভারেস্ট সামিট করার ক্ষেত্রে আবহাওয়া বড় ফ্যাক্টর। বাংলাদেশের একজন আবহাওয়াবিদ আমাকে দারুণ সহযোগিতা করেছেন। কৃতজ্ঞতা জানান নিজের ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স, সকল পৃষ্ঠপোষক সংগঠন এবং ক্রাউড ফান্ডিংয়ে অংশ নেওয়া সকল শুভাকাঙ্খীদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের সভাপতি দেবাশীষ বল, প্রধান উপদেষ্টা শিহাব উদ্দিন এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান ভিজ্যুয়াল নিটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. এন. ফয়সাল।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ