ঢাকা, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামে বিপিসি’র আলোচনা সভা
জ্বালানির চাহিদা মেটাতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী জ্বালানির চাহিদা মেটাতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পরিচালক অপারেশন্স এন্ড প্ল্যানিং অনুপম বড়ুয়া।

মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামে বিপিসি’র প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে অংশীদারদের সাথে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুপম বড়ুয়া বলেন, জ্বালানি তেলের দেশীয় চাহিদা মেটানোর জন্য দেশীয় জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের জোগান বৃদ্ধি করতে হবে। এতে করে জ্বালানি ক্রয় বাবদ যে ডলার খরচ হচ্ছে, তা সাশ্রয় হবে। যা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। এটা করার জন্য আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জোগান বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে করে বিপিসি আরও বেশি করেই জোগান পায়। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের সহায়তা করবে বিপিসি।

তিনি বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জ্বালানি সেক্টরে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, তা অংশীদারদের মাধ্যমে চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যে সমস্যা আমরা সমাধান করতো পারবো, তা সমাধানের চেষ্টা চলছে। যেগুলো মন্ত্রণালয়ের সাথে সম্পৃক্ত, তা মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে সমাধানের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে আমাদের সাথে সে সব অংশীদার আছেন, তারা ক্রমান্বয়ে ভালো করছে। এটা অন্যাদের উৎসাহ দেবে।

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, ম্যানেজার প্রকৌশলী আমেনা ফেরদৌসি, ডেপুটি ম্যানেজার তানজিন হোসেন।

অংশীদারদের মধ্যে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন সিলেট ফিল্ডস্ লিমিটেড, সুপার পেট্রোক্যামিকেল লিমিটেড, পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারী লিমিটেড, অ্যাকোয়া রিফাইনারী লিমিটেড এবং পারটেক্স পেট্রো লিমিটেড’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আলোচনা সভায় বিপিসি’র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, সম্প্রতি সময়ে নানান কারণ দেখিয়ে প্ল্যান্টের উৎপাদন হ্রাস বা বন্ধ রাখা হচ্ছে। এতে করে বিপিসিকে বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তাই প্ল্যান্ট বন্ধ বা উৎপাদন হ্রাসের ন্যূনতম ৪০ থেকে ৪৫ দিন পূর্বে বিপিসি’র জানানোর অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়া নিয়মিতভাবে সরবারহ করা জ্বালানির পরিমাণ প্রতিমাসের ২০ তারিখের মধ্যে পরবর্তী দুই মাসের জ্বালানির পরিমাণ নিশ্চিত, কাঁচামাল আমদানি সংক্রান্ত তথ্য প্রদান, চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ, সেফটি স্ট্যান্ডার্ট অনুসরণ, ফোকাল পয়েন্ট নির্দিষ্টকরণ এবং চুক্তি শর্ত প্রতিপালনের অনুরোধ করা হয় অংশীদারদের কাছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর