ঢাকা, বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

প্রত্যাহার চায় বিভিন্ন সময় দায়ের করা ২০৩ মামলা
হেফাজতে ইসলামের নতুন মিশন
কমাতে চায় নিজেদের দ্বন্দ্ব
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি

কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম নিজেদের দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার পথে এগোচ্ছে। সরকারের ওপর ‘চাপ’ সৃষ্টি করে বিভিন্ন সময় দায়ের হওয়া ২০৩টি মামলা প্রত্যাহার চায় সংগঠনটি।

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ‘সরকারের উচ্চমহল আমাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু এখনো কার্যকর করেনি। মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে হেফাজতের সব নেতার মত অভিন্ন। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না হলে হেফাজত আন্দোলনমুখী হবে।’

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী ৩ জুন ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদরাসায় কারামুক্ত নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ওই অনুষ্ঠানে শীর্ষ প্রায় সব নেতা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে নেতারা মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলেন অভিন্ন সুরে।

জানা যায়, গত ১১ বছরে দেশের বিভিন্ন থানায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২০৩টি মামলা দায়ের হয়। ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ কেন্দ্র করে সারা দেশে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ৫১টি মামলা হয়। এর মধ্যে দুইটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। বাকিগুলোর তদন্ত ১১ বছরেও শেষ হয়নি। 

এছাড়া ২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভ কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় হেফাজত নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে। এসব ঘটনায় সারা দেশে ১৫২টি মামলা হয়। 

দুই দফায় দায়ের হওয়া মামলায় হেফাজত ছাড়াও ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী ছাত্রশিবির, নেজামে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বিএনপি-জামায়াতসহ কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের দাবি-মামলায় হেফাজত ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও মামলা প্রত্যাহারের ইস্যুতে সবাই এক।

আজিজুল হক ইসলামাবাদী আরও বলেন, হেফাজতের সব নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত। কিন্তু প্রায় সবাইকে মাসের বেশির ভাগ সময় ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন আদালতে হাজিরা দিয়ে কাটাতে হয়। এটা কারাগারে থাকার চেয়ে কষ্টকর।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর