ঢাকা, রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণের ঘটনায় আরেকজন গ্রেফতার, তদন্ত কমিটি গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

সিলেট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় আবদুর রব রাসেল (২৮) নামের আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কুতুবপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ ঘটনায় উদয়ন এক্সপ্রেসে খাবার সরবরাহকারী (ক্যাটারিং সার্ভিস) প্রতিষ্ঠান এস এ কর্পোরেশনের সঙ্গে সকল কার্যক্রম স্থগিত করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া, গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।  

জানা যায়, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে ধর্ষণের ঘটনায় গত বুধবার ভুক্তভোগী ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদ জামাল (২৯), মোহাম্মদ শরীফ (২২) ও রাশেদুল ইসলামকে (২৮) এবং সকালে রাসেলকে গ্রেফতার করে। তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। একই ঘটনায় ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আবদুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল  কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর গত বুধবার তিনজনকে এবং বৃহস্পতিবার একজনকে গ্রেফতার করা হয়। চারজনই খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী। তাদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী নারীকে চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা চলছে।

জানা যায়, ট্রেনে ধর্ষণের ঘটনায় এস এ কর্পোরেশনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। গত বুধবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এস এ কর্পোরেশনের পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিসের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।  

তাছাড়া, পৃথক এক আদেশে রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপককে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলা হয়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা, বিভাগীয় ব্যবস্থাপককে (ইঞ্জিন) দিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।  

প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী তরুণী উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসছিলেন। তিনি সিলেট থেকে উঠে খাবার বগিতে অবস্থান করেন। ওই সময় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মী ওই তরুণীকে প্রথমে উত্ত্যক্ত এবং পরে ধর্ষণ করে। ওই তরুণী আত্মীয়দের সঙ্গে ভৈরবে থাকেন। সিলেট গিয়েছিলেন ভাইয়ের বাসায়। তার বাড়ি বান্দরবানে। তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্যই চট্টগ্রামে আসছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/এএম



এই পাতার আরো খবর