ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বিপ্লব উদ্যান বাঁচাতে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম সবুজ আঙিনা বিপ্লব উদ্যান বাঁচাতে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন এবং বিপ্লব উদ্যানের পরিবেশ ধ্বংস করে নতুন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিপ্লব উদ্যান দোকান মালিক সমিতি। 

বুধবার দুপুরে বিপ্লব উদ্যানের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিপ্লব উদ্যান দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির, বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কমিটির অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, নগর পরিকল্পনাবিদ তুহিন বড়ুয়া, সেফ গ্রিনের তৌহিদ আনোয়ার, স্থানীয় বাসিন্দা আসিফ ইকবাল ও নাসিরাবাদ আবাসিক এলাকার পক্ষে নজরুল ইসলাম।      

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের দাবি হল-নগরবাসীর কথা বিবেচনা করে মহামান্য হাইকোর্টের রায় অতিসত্বর বাস্তবায়ন করা ও নতুন বাণিজ্যিক স্থাপনার চুক্তি বাতিলপূর্বক পার্ককে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া। এ ব্যাপারে আমরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কার্যকর হস্তক্ষেপ কমনা করছি। উদ্যান কোনো প্রতিষ্ঠানের নয়, এটি নগরবাসীর। চট্টগ্রাম শহরের বুকে এমন পার্কের গুরুত্ব অনেক। কিন্তু এটি এখন হুমকির মুখে পড়েছে। নতুন স্থাপনা নির্মাণের কারণে ছোট-বড় এবং কিছু প্রবীণ বৃক্ষ কাটা হয়েছে। ফলে পার্কটিকে তারা মরুউদ্যানে পরিণত করেছে। একমাত্র চসিকই পারে প্রকৃতির এই বিরূপ প্রভাব হতে নগরবাসীকে উদ্ধার করতে।  

বক্তারা বলেন, আমরা আগেও মানববন্ধন করেছিলাম। চসিক আমাদের কথা রাখেনি। এখানে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও চসিক নতুন স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসার জায়গায় ব্যবসা করেন কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু প্রকৃতি নষ্ট করে কেন ব্যবসা? এই পার্ক চসিকের একার সম্পত্তি নয়, এটি  জনগণেরও। এই পার্কের সুবিধা নগরবাসীও প্রাপ্য। নগরবাসীকে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে স্থাপনা গড়তে দেয়া  হবে না।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালে নগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ২ নম্বর গেটে গাছগাছালিতে ভরা দুই একরের এই উদ্যান গড়ে তোলা হয়। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী, উদ্যানে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশের বেশি কংক্রিট অবকাঠামো থাকতে পারবে না। আন্তর্জাতিকভাবে ২ শতাংশও অনুমোদন করে না। কিন্তু চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানের কংক্রিট অবকাঠামোর পরিমাণ অন্তত ৫৫ শতাংশ। এখন সেখানে আবারও স্থাপনা করা হলে উদ্যানে উন্মুক্ত পরিসর ও সবুজ পরিবেশ বলে কিছুই থাকবে না বলে আশঙ্কা।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত



এই পাতার আরো খবর