ঢাকা, শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে বন্যার্তরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফটিকছড়িসহ অন্যান্য বন্যা কবলিত এলাকায় পানি নেমে যাওয়ার পর থেকে গত কয়েকদিনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করছেন বন্যার্তরা। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরে অনেকে নিজের ঘরবাড়ি ঠিক করার চেষ্টা করছেন। ঘর থেকে বন্যায় পানির সাথে আসা কাদামাটি পরিষ্কার করে বসবাস উপযোগী করার চেষ্টা করছেন অনেকে। তবে যাদের ঘরবাড়ি নিশ্চিহৃ হয়ে গেছে তাদের অনেকে এখনো বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফেনী নদী লাগোয়া মিরসরাইয়ের করেরহাট, ধুম, ইছাখালী, কাঁটাছড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন টানা পাঁচদিন বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকার পর গত বুধবার থেকে পানি নামতে থাকে। পানি নেমে গেলেও প্রথম দুই একদিনে বাড়ি ঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় অনেকে বাড়িতে ফিরতে পারেননি। তবে শুক্রবার থেকে বাড়ি ঘর ঠিক করে ক্রমান্বয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন বন্যা কবলিতরা।

অনেকে বাড়ি ফিরলেও শনিবার ও আজকের দিনেও ঘরবাড়ি সংস্কারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে যাদের বাড়িতে মাটির চুলা আছে তারা এখনো পর্যন্ত চুলোয় আগুন দিতে পারেননি। ফলে খাবার সংকট তৈরী হয়েছে। অনেকে শুকনো খাবার খেয়েও দিন পার করছেন বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।

মিরসরাইয়ের ধুম ইউনিয়নের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি এসেছি। কিন্তু ঘরের চাল ঠিক করেছি গত দুইদিন। চুলা এখনো ঠিক হয়নি। বাসার আসবাবাপত্র পরিষ্কার করতে হচ্ছে। সবকিছু স্বাভাবিক হতে আরো সময় লাগবে।’

আবার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা মনোহর পাল এখনো বাড়িতে ফিরতে পারেননি। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে পরিবার নিয়ে বের হয়ে তিনি এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ঘর ছিলো মাটির। পুরো ঘরই বন্যার পানিতে ধ্বসে গেছে। নতুন করে ঘর তৈরী করতে হবে।’

মিরসরাইরে মতো প্রায় একই অবস্থা ফটিকছড়িরও। তবে ফটিকছড়িতে মিরসরাইয়ের আগেই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ফলে সেখানকার মানুষ কিছুটা আগেই ঘরবাড়ি গুছিয়ে নিয়েছেন। তবে নি¤œবিত্ত ও যাদের ঘর মাটির ছিলো তারা এখনো বেকায়দায় আছেন।

এদিকে বেসরকারি উদোগের পাশাপাশি সরকারি সংস্থাগুলোও গত কয়েকদিনে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করেছে। বন্যা কবলিতদের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমেও জোর দেয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিতে চট্টগ্রামে এসেছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি মিরসরাই উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন।

সেখানে ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘বাংলাদেশের দিকে এখন সারা বিশ্বের চোখ। নানান ক্ষেত্র থেকে বন্যা দুর্গতদের জন্য সহযোগীতা আসছে। আপনাদের চিন্তার বাইরে গিয়েও অনেক কিছু সমাধান করা হবে।’

 

বিডি প্রতিদিন/এএম

 

 



এই পাতার আরো খবর