ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামে পরিবহনের অভ্যন্তরীন বিরোধে ভোগান্তি জনগণের
ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পরিবহন শ্রমিকদের অভ্যন্তরীন বিরোধের জেরে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বাস চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীরা। বিশেষ করে কক্সবাজার, বান্দরবানগামী পর্যটকদের ভোগান্তি ছিল চরমে। 

বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিকল্প যানবাহন হিসেবে যাত্রীরা মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যে গেলেও গুণতে হয়েছে বাড়তি ভাড়া। সংশ্লিষ্টরা জানান, বাসের লাইন ব্যবস্থাপনা ও চালককে মারধর করার কারণে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মুসা বলেন, বড় বাসের এক চালক রাতে ছোট বাস করে বাড়িতে যাওয়ার পথে বাসের যাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণ করে। যার কারণে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় যাত্রীরা। এটা নিয়ে ড্রাইভারের সাথে তার ঝামেলা হয় এবং এটাকে ইস্যু করে নতুন ব্রীজ এসে সকালে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে রেখেছে। 

তিনি বলেন, এখানে চাঁদাবাজির বিষয়টি সম্পূর্ণ সাজানো ও মিথ্যা। সেখানে চাঁদা নিয়ে কোনো ঘটনা ঘটেনি। মূলত ঘটনাটি ঘটেছিল লোহাগাড়া এলাকায়। আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব বলে জানিয়েছিলাম। এরমধ্যে হঠাৎ সকালে গাড়ি বন্ধ রাখে। তবে দুপুর দুইটার পর থেকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।

শ্রমিকদের দাবি, শনিবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা ঈগল পরিবহনের এক চালককে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী কসাই পাড়া এলাকায় মারধরের ঘটনা ঘটে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন তারা। এছাড়াও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের বাসের লাইন ব্যবস্থাপনা নিয়ে আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মুসার সাথে ঝামেলা রয়েছে। মুসা নির্বাচন ছাড়াই গত ১৭ বছর আমাদের রক্ত চুষে খেয়েছেন। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও মুসার চাঁদাবাজী থামেনি। মুসা ও তার বাহিনীর নির্যাতনে গত ১৭ বছরে প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক এই পেশা ছেড়ে চলে গেছে। অতিরিক্ত চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় সে তার লালিত অবৈধ শ্রমিক লেলিয়ে প্রকৃত শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আমরা মাঠে নেমেছি মুসার শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর