ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

এখন হাঁটা ছাড়া তাদের আর কোনো গতি নেই!
অনলাইন প্রতিবেদক
ভারী ব্যাগ মাথায় কিংবা কাঁধে করে বাসার উদ্দেশে হাঁটছেন তারা

ঈদুল আজহার একদিন পরই ফিরতে হলো ঢাকায়। রাতের লঞ্চ, রাজধানীতে পৌঁছেছে ভোরে। এরপর যাত্রীদের নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়ার একমাত্র উপায় হাঁটা। এ ছাড়া আর কোনো গতি নেই তাদের। 

দক্ষিণবঙ্গ থেকে আসা অসংখ্য যাত্রী এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, যে লঞ্চগুলো ভোর ৬ টার পর ঢাকায় পৌঁছাল,  সেই লঞ্চের যাত্রীরা কীভাবে তাদের গন্তব্যে যাবেন, তার কোনো চিন্তা সরকার করেনি।

বরিশাল থেকে আসা আলমগীর কবির বলছিলেন, ‌‘প্রশাসন কেন লঞ্চগুলো ছাড়ার আগে বন্ধ করল না? যদি লঞ্চগুলো বন্ধ করে দিত, তাহলে আমরা ঢাকায় আসতাম না। এই ভোগান্তির মধ্যে পড়তাম না। বরিশাল থেকে এসেছি, যাব গাজীপুরে। এখন আমি স্ত্রী আরও সন্তানদের নিয়ে কীভাবে বাসায় যাব। হাঁটা ছাড়া কোনো গতি দেখছি না।’   

রাজধানীর বিভিন্ন পথ ধরে অনেক যাত্রীকে আজ হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। নারী-পুরুষ-শিশুরাও ভারী ব্যাগ মাথায় কিংবা কাঁধে করে বাসার উদ্দেশে হাঁটেন। অনেকে ক্লান্ত হয়ে মাঝে মাঝে ফুটপাতে বিশ্রামও করে নেন। 

আজ থেকে শুরু হয়েছে ১৪ দিনের কঠোরতম লকডাউন। এ প্রসঙ্গে আগেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার আরেকবার কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘এবার হবে আরও কঠোরতম লকডাউন।’ 

তার ঘোষণা অনুযায়ী আজ চলছে না কোনো গণপরিবহন। বন্ধ রয়েছে পোশাক কারখানাসহ সব শিল্প প্রতিষ্ঠান। তবে অল্প সংখ্যক রিকশা চলছে।  

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর