ঢাকা, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বিশেষ ফ্লাইটে চীনে ফিরতে চান আটকে পড়া অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা
অনলাইন ডেস্ক
চীনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি-সংগৃহীত।

বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে চীনে ফিরে যেতে চান দেশে এসে আটকে পড়া চীনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'ভয়েস অব বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ইন চায়না'-ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। 

এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন ও বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড ধারণ করেন। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দেশে ফিরে আসা এসব আটকে পড়া শিক্ষার্থী ফের চীনে ফিরে যেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের দাবি, বিশেষ ফ্লাইটে তাদের চীনে পাঠানো হোক। প্রয়োজনে তারা নিজ খরচে ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইন করতেও প্রস্তুত।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফজলে রাব্বি বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারির ফলে প্রায় ছয় হাজারের মতো শিক্ষার্থী শীতকালীন অবকাশের সময় এবং পরবর্তীতে মহামারি ছড়িয়ে পড়লে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং অনেকের ব্যক্তি উদ্যোগে দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, দেড় বছর কেটে গেলেও আজ পর্যন্ত আমাদের ফিরে যাওয়া হয়নি এবং আমাদের ফিরে যাওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, আমরাও আশা করি সরকারের সহযোগিতায় চীনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে পারবে। আমরা যেহেতু টিকার আওতায় চলে এসেছি এবং সুরক্ষিত আছি, সেহেতু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষার শর্ত মেনে বিশেষ ফ্লাইটে করে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের ভবিষ্যত এবং অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে, বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশে আটকে পড়া চীনে অধ্যয়নরত সব শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে নিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমানে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ ল্যাংগুয়েজ, প্রকৌশল, এমবিবিএস ও গবেষণার বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে আসছে। একজন প্রকৌশল শিক্ষার্থীর তাত্ত্বিক পাঠদানের পাশাপাশি ল্যাবরেটরির কাজ, ব্যাবহারিক কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা শুধুমাত্র অনলাইনে দায়সারাভাবে দেওয়া হচ্ছে, যেটা আমাদের শেখার মতো উপযুক্ত নয়। এতে করে আমাদের দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশে শিক্ষিত বেকার তৈরি হবে। এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যাটা আরও বেশি প্রকট, ইন্টার্নশিপের সুযোগ না পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ডিগ্রি নিয়ে সংশয়ে আছে।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত



এই পাতার আরো খবর