ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

‘ভাবি’ পরিচয়ে নারীকণ্ঠই তার মূল অস্ত্র
অনলাইন ডেস্ক
মেহেদী হাসান। সংগৃহীত ছবি

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানের স্ত্রী সেজে ফোন করেন অধস্তন কর্মীদের। স্বল্প সময়ের জন্য টাকা ধার চাইতেন তিনি। একই অপরাধে ১০ মাস জেলে কাটিয়ে আবারও আগের পেশায় জড়িয়েছেন তিনি। পুরুষ হয়েও অবিকল নারীকণ্ঠে কথা বলতে পারায় তাকে দেখে অবাক গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। কোনোরকম প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়াই এমনটা করে হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল অংকের টাকা। ভাবি পরিচয়ে নারীকণ্ঠই তার মূল অস্ত্র। এই যুবকের নাম মেহেদী হাসান। বাড়ি টাঙ্গাইল। 

প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। নারী ভেবে তাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুরুষ দেখে অবাক হয়েছেন ডিবি পুলিশের সদস্যরাও।

গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলেছে, সরাসরি না দেখে কণ্ঠ শুনলে তাকে ভাবি হিসেবে যে কেউ ধরে নেবেন তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। প্রতারণার পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সর্ম্পকে খোঁজ খবর নিতেন মেহেদী হাসান। সংগ্রহ করতেন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অধস্তন কর্মীদের মোবাইল ফোন নম্বর। পরে ফোন করে ভাবি পরিচয়ে টাকা ধার চাইতেন। পরিচয় যাচাই না করে অনেকেই টাকা দিয়ে দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে একই অপরাধে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। ১০ মাস জেল খাটার পর জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও সেই পুরানো কায়দায় শুরু করেছিলেন প্রতারণা। এর আগে তিনি সিলিং মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন। প্রথম প্রথম বন্ধুদের সঙ্গে নারীকণ্ঠে কথা বলে বোকা বানাতেন। পরে রপ্ত করা এ বিদ্যা কাজে লাগাতে শুরু করেন প্রতারণার কাজে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যাকে ফোন দিচ্ছে টাকা ধার নেওয়ার জন্য তারা সতর্ক হন। যখন সচিবের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে, তখন সেই মন্ত্রণালয়ের খোঁজখবর নেন। সচিবের স্ত্রী পরিচয় পেলে আপনারা টাকা পাঠিয়ে দেন তাহলে তো আপনার প্রতারক চক্রের কবলে পড়বেনই। যাচাই করার পরামর্শ রইল।’   বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 



এই পাতার আরো খবর