তৃণমূল পর্যায়ে পুলিশি সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে (বিএমপি) মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের ‘বডি ওর্ন ক্যামেরার’ আওতায় আনা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম দিনে ট্রাফিক পুলিশের ২০ জন সদস্যকে এই ক্যামেরাসহ মাঠে নামানো হয়েছে।
এই ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে পুলিশ সদস্যরা আরও দায়িত্বশীল হবেন বলে প্রত্যাশা কর্মকর্তাদের। এদিকে, হাই রেজ্যুলেশনের কোনো ডিভাইস, ক্যামেরা বা মোবাইল বুকের কাছে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা ডিভাইসটি বুকের কাছ থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের কাজের দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ৬৪টি বডি ওর্ন ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাফিক বিভাগকে ২০টি, কোতয়ালী মডেল থানায় ১৫টি, কাউনিয়া ও এয়ারপোর্ট থানায় ৮টি করে, মেট্রো ডিবিকে ৫টি এবং সিটি এসবিকে ২টি করে ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ট্রাফিক বিভাগে প্রথমবারের মতো এই বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার শুরু হয়। ক্যামেরাগুলো চালু অবস্থায় বুকের কাছে ইউনিফর্মে সাটিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
১৬৩ গ্রাম ওজনের এই ক্যামেরা একটানা ৩০ মিনিটের ভিডিও চিত্র রেকর্ড করতে সক্ষম। ৩০ মেগা পিগজেল ক্যামেরায় রয়েছে ১১৬ জিবি মেমোরি। এর সাথে পোর্টেবল ওয়াইফাই সংযুক্ত করে এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে পুলিশ বিভাগের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে আশা করেন বিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মো. সেলিম।
এদিকে, হাই রেজ্যুলেশনের ক্যামেরা, মোবাইলসহ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যেকোনো প্রযুক্তি বুকের কাছাকাছি না রেখে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. এম সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, এই ডিভাইস অতিমাত্রায় ব্যবহারের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে। এ ধরনের ডিভাইস এখনো বডি ফ্রেন্ডলি হয়নি বলে সতর্কতার সাথে এগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই