ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কাউন্টারগুলোয় ভিড় নেই, আসন ফাঁকা নিয়ে ছাড়ছে বাস
নাজমুল হুদা, সাভার
ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

আগামীকাল মঙ্গলবার ঈদ। অথচ সাভারে ও আশুলিয়ার বাস টার্মিনালগুলো অনেকটাই ফাঁকা। একদিন আগেও ঘরমুখো মানুষের যে ভিড় ছিল তা এখন নেই। স্বাভাবিক সময়ের মতো যাত্রীদের ডেকে ডেকে গাড়িতে তুলছেন পরিবহন শ্রমিকরা। কোনো কোনো কাউন্টারে অলস সময় পার করছেন টিকেট বিক্রেতারা। কিছু গাড়ি ছেড়ে গেছে অর্ধেকেরও কম যাত্রী নিয়ে। সাভারে নবীনগর ,আশুলিয়ার বাইপাইল বাস টার্মিনালে এমন চিত্র দেখা গেছ। 

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারি ছুটি কম থাকায় এবং করোনা মহামারির কারণে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নেই। যে কারণে এবার অনেকেই বাড়িতে যেতে আগ্রহী নন। ঢাকা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আব্বাস উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একজন পরিবহন মালিক হিসেবে আমি হতাশ। সব জায়গাতেই যাত্রী কম। কারণ হচ্ছে একদিকে বাড়তি ভাড়া অন্যদিকে ঈদের পরে ছুটি কম। এছাড়া অনেক মানুষ আগেই চলে গেছে। 

আজ সোমবার সকালে নবীনগর বাস টার্মিনাল দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার যাত্রীদের যতটা চাপ ছিল সে তুলনায় আজ কাউন্টারগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। থেকে থেকে দুই-একজন যাত্রীর দেখা মিলছে। টিকেট বিক্রেতারা অনেকেই ঘুমিয়ে সময় কাটিয়েছেন। কেউ আবার গল্প করে, আড্ডা দিয়ে সময় কাটান। 

পরিবার নিয়ে বরিশাল যাচ্ছেন বেসরকারি চাকরিজীবী শরিফ দেওয়ান ও তার পরিবার। তিনি বলেন, ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া দিয়ে বাড়ি যাচ্ছি পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে। কিন্তু বেশি ভাড়া দিলেও নির্ধারিত সময়ে গাড়ি আসছে না।

অন্যদিকে, আশুলিয়ার বাইপাইলে সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ ছিল কম। আগে যারা টিকেট কাটেননি, তারা কাউন্টারে এসে টিকেট কাটছেন। তবে অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, সরকারি নির্দেশনার বাইরে গিয়ে বাসভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা-রংপুর রুটে আগে যেখানে ভাড়া ছিল ৫০০ টাকা, এখন সেখানে নেওয়া হচ্ছে ১০০০ টাকা। 

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা প্রস্তুত। মহসড়কের সবকয়টি স্থানেই আমাদের পুলিশ দিন রাত কাজ করছে। ঈদযাত্রীর কোন ভোগান্তি হচ্ছে না।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর