ঢাকা, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

‘বড় কাটরা’ ধ্বংসে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে : বিআইপি
অনলাইন ডেস্ক

ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ‘বড় কাটরা’ ভাঙ্গার অনুমোদনের সাথে যেসকল কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত তাদের জবাবদিহিতা এবং শাস্তির আওতায় আনা জরুরি বলে মনে করে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। বিআইপি প্রত্যাশা করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ ২০২২-২০৩৫) নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ও স্থাপত্যশৈলীকে সংরক্ষণ এবং পুনর্নির্মাণ করে নতুন প্রজন্ম এবং বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করা হবে। আর এ বিষয়ে সরকারকে সকল ধরণের সহযোগিতা করতে বিআইপি বদ্ধ পরিকর।

আজ বুধবার বিআইপি’র সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৯৬৮ সালের পুরাকীর্তি আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা সংরক্ষণের দায়িত্ব প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের। পাশাপাশি, ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা (২০০৮) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি, ২০২০) অনুসারে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার মধ্যে ও সীমানার বাইরের দিকে ৯ মিটারের মাঝে রাজউকের অনুমতি ব্যতীত যেকোনো ধরনের নির্মাণ, উন্নয়ন ও স্থাপনা অপসারণ নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

এ ছাড়া স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন (২০০৯) এর ৩য় তফসিলের ২৬.৭ অনুযায়ী ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। এছাড়াও রাজউক প্রণীত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০১০-২০১৫) এবং (২০২২-২০৩৫) ভবনটিকে ঐতিহ্যবাহী ইমারত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও বলা হয়, আইন অনুযায়ী বড় কাটরা সরকারের অধীনে থাকার কথা থাকলেও সরকারি সংস্থাসমূহের নজরদারীর অভাবে স্থাপনাটির ব্যক্তি মালিকানা দাবী করা হয়। বড় কাটরার বিশাল অংশজুড়ে একটি মাদ্রাসা, মালের আড়ত, ঝালাই কারখানাসহ নানা রকমের দোকানও রয়েছে। ফলস্বরূপ, বিভিন্ন সময়ে দাবী করা মালিকরা ভবনটি ভেঙ্গে ফেলেছে এবং বহুতল ভবন নির্মাণে রাজউকের অনুমতি ও অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি রয়েছে মর্মে দাবী করেছেন। 

বিআইপি মনে করে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামত ও পরামর্শ অনুযায়ী সরকার তালিকাভুক্ত ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্ধারণ, অধিগ্রহণ ও সঠিক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করে পূর্বের স্থাপত্যশৈলী পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ করা জরুরী। স্থাপনাসমূহ সংরক্ষণে মনিটরিং সেল স্থাপন ও ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর



এই পাতার আরো খবর