রাজধানীর ডেমরায় এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পুলিশ ওই তরুণীকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে-ওসিসি ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার বিকাল ৫টায় ডেমরা কোনাপাড়া এলাকায় কাশবনে গণধর্ষণের বিষয়টি জানিয়েছেন ভিকটিমের বড় ভাই। গতকাল ঢামেক সূত্র জানিয়েছে, ১৫ দিন আগে ওই তরুণী তার বড় ভাইয়ের কদমতলীর বাসায় বেড়াতে আসেন। সেখান থেকে রবিবার বিকাল ৫টায় ডেমরার কোনাপাড়ায় মেলায় যায়। সেখানে গিয়ে তার কথিত চাচাতো ভগ্নিপতি সেলিম ও তার বন্ধু আলমের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তারা তাকে মেলায় বিভিন্ন আইটেমের নাশতা খাওয়ায়। পাশাপাশি কোকাকোলার সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কোনাপাড়ার কাশবনে নিয়ে ৫/৬ জনে মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। পরে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বর থেকে কল পেয়ে ডেমরা থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের-ওসিসি সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম জানিয়েছেন, গতকাল দুপুরে তাদের কাছে ভুক্তভোগীকে পাঠানো হয়। আজ তার ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হবে। প্রাথমিকভাবে ওই তরুণী অভিযোগ করেছেন, তার পূর্ব পরিচিত সেলিম ও আলম তাকে অচেতন করে ধর্ষণ করেছে। ডেমরা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুব্রত কুমার পোদ্দার জানান, গণধর্ষণের শিকার তরুণীকে ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করানো হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করতে রাজি হননি। ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক মোল্লা জানান, ওই তরুণীর বাড়ি মাদারীপুরে। গত দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তার। বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই।

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ